ইনকিলাব ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডব্লিউ মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করেছে। এইচআরডব্লিউ’র প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ সমালোচনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে পরিষ্কার ভাষায় বলা হয়েছে, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে আমেরিকা। এতে জাতিগত বৈষম্য, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা, এবং পররাষ্ট্রনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে আমেরিকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশের হাতে আফ্রিকান-আমেরিকানদের হত্যা এবং আটক করার ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ও এ প্রতিবেদনে ঠাঁই পেয়েছে।
আমেরিকার কারাগারগুলোতে ২৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষ আটক রয়েছে- উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, বিশ্বে আমেরিকায়ই সবচেয়ে বেশি মানুষকে আটক করা হয়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ এবং কৃষ্ণাঙ্গ উভয় বর্ণের মানুষ সমপরিমাণে মাদক সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত রয়েছে। এ সত্ত্বেও মাদক সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকহারে আটক এবং বিচার করা হয়। আমেরিকার জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠী হলেও মাদক সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে আটক ব্যক্তিদের ২৯ শতাংশই কৃষ্ণাঙ্গ। আমেরিকায় সাদাদের তুলনায় কালো মানুষদের ছয় গুণ বেশি আটকের ঘটনা ঘটে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া, এতে পুলিশের হাতে অধিক হারে নিরস্ত্র আফ্রিকান-আমেরিকান হত্যার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর পুলিশের হাতে কতো সংখ্যক মানুষ নিহত হয় তার হিসাব-কিতাব মার্কিন সরকার রাখে না। এইচআরডব্লিউ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকায় জামিনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ যোগাতে না পারায় দরিদ্র শ্রেণীর মানুষকে অহেতুক দীর্ঘদিন আটক থাকতে হয়। প্রতিবেদনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্র নীতিরও কঠোর সমালোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, সিরিয়ায় কথিত মধ্যপন্থী বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র দিতে লাখ লাখ ডলার ব্যয় করা হয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। অথচ মার্কিন প্রেসিডেন্টের কোনো ভূমিকার অবকাশ না রেখেই আমেরিকা মুখে মুখে সিরিয়া সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে। রেডিও তেহরান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন