ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ডে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় কনভেনশন শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ হবে এই কনভেনশনে। গতকাল সোমবার থেকে চার দিনের এই সম্মেলন শুরু হয়। এই সম্মেলনেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হিসেবে অভিষিক্ত করার কথা রয়েছে। ট্রাম্পের জন্য ভালো খবর হলো তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। সম্মেলন চলাকালে ট্রাম্পের জন্য আরও স্বস্তির খবর হলো, সর্বশেষ জনমত জরিপে হিলারি ক্লিনটন ও তার মধ্যে ফারাক বেশি নয়। উভয়েরই এই মুহূর্তে জনসমর্থনের হার ৪০ শতাংশ। আরেক ভালো খবর হলো, অত্যন্ত রক্ষণশীল হিসেবে বিবেচিত ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর মাইক পেন্সের তার রানিং মেট হওয়া। দলীয় নেতারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেসম্যান ও গভর্নর হিসেবে অভিজ্ঞ পেন্স বয়স্ক একজন হিসেবে ট্রাম্পের শিক্ষানবিশ নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবেন। ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাও ট্রাম্পকে সাহায্য করছে। নিস শহরে এক তিউনিসীয় বংশোদ্ভূত মুসলিমের চালানো ট্রাকের চাপায় ৮৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে ট্রাম্প পশ্চিমা সভ্যতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে বড় ভালো খবরটি হলো, দলের যেসব সদস্য তাকে পছন্দ করেন না, তারা যাতে প্রার্থী বদলাতে না পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া। ডেলিগেটরা নিজেদের পছন্দমতো অন্য প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন এমন একটি প্রস্তাব দলের নীতিনির্ধারণী কমিটি গত শনিবার নাকচ করে দিয়েছে। কমিটি বলেছে, দেশব্যাপী প্রাইমারি ও ককাসে যে ফল হয়েছে, তার ভিত্তিতেই প্রার্থী মনোনীত হবে। অর্থাৎ ট্রাম্পকে ঠেকানোর উপায় কার্যত আর রইল না। তবে ট্রাম্পের জন্য ভালো খবর এই পর্যন্তই।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্ভাবনায় তার নিজের দলের অনেক সদস্য এখনো এতটা উদ্বিগ্ন যে, তারা এই গুরুত্বপূর্ণ দলীয় সম্মেলনে না গিয়ে নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় অথবা পারিবারিক কাজে সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আরেক বড় সমস্যা নির্বাচনী তহবিল। বিলিয়নিয়ার হিসেবে নিজের পরিচয় দিতে ভালোবাসলেও ট্রাম্প নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে খুব সামান্য অর্থই নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করছেন। আর অধিকাংশ রিপাবলিকান চাঁদা প্রদানকারী এখনো তাদের বন্ধ মানিব্যাগ খোলেননি। ট্রাম্পের জন্য অন্য মাথাব্যথা হবে সম্মেলনের সময় অস্বাভাবিকসংখ্যক বিক্ষোভকারীর উপস্থিতি। আফ্রিকান-আমেরিকান ও হিস্পানিক বিভিন্ন গোষ্ঠী জানিয়েছে, ক্লিভল্যান্ডে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেবে তারা। বিবিসি, রয়টার্স, এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন