ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রেক্সিটের প্রভাবে লন্ডনে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের দাম পড়ে গেছে। ক্রেতারা নির্মাতাদের সঙ্গে দরকষাকষি করে আসল মূল্যের চেয়ে কম দামে ফ্ল্যাট কিনছেন। এতে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে বিনিয়োগকারী ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
ফ্ল্যাট বিক্রির ওয়েবসাইটগুলোতে দেখা যায়, নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ক্রেতারা অসম্পূর্ণ ফ্ল্যাট বিক্রির বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে। দরকষাকষি করে ফ্ল্যাট কেনার ফলে নতুন ক্রেতারও উদ্ভব হয়েছে। অর্থাৎ আগে যারা ফ্ল্যাট কেনার চিন্তা করতো না, তারাও এখন ফ্ল্যাট কিনতে পারছে- এতটাই পড়ে গেছে এ খাতটি।
এ সপ্তাহেই রিয়েল এস্টেট এজেন্ট লন্ডন ডোম ডট কম ডেভেলপারদের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে কম দামে বিভিন্ন রকমের সম্পত্তি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয়। বেটারসি রিভারলাইটে তিন শয্যার এসব ফ্ল্যাট তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১৮ লাখ ৯০ হাজার পাউন্ড। ২০১৭ সালে এসব ফ্ল্যাট হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু এসব ফ্ল্যাট এখন ২০১৩ সালে ক্রয় করা দামের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।
টেমস-এর দক্ষিণ তীরের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটগুলোর অবস্থাও একই। ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে পাউন্ডের দাম কমে যাওয়ায় লন্ডনের আবাসন খাতের ব্যবসায়িরা ব্যাপকভাবে মার খাচ্ছে। কবে নাগাদ এ অবস্থার উত্তরণ ঘটবে, তা কেউ বলতে পারে না।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, চলতি জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসের চেয়ে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। আবাসন খাতও এর বাইরে নয়। যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পক্ষে ভোট পড়ার পর দেশটির অর্থনৈতিক সংকোচনের প্রথম ইঙ্গিত এটি। গবেষণা প্রতিষ্ঠান মার্কিট বলছে, পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স সূচক (পিএমআই) জুলাই মাসে ৪৭ দশমিক ৭-এ নেমে এসেছে। জুন মাসে তা ছিল ৫২ দশমিক ৪। এ সূচক ৫০-এর নিচে থাকার অর্থ বেসরকারি খাতের কার্যক্রম সংকুচিত হওয়া। দ্য গার্ডিয়ান, এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন