সাত সকালেই বিমানবন্দরে হাজির ছোট্ট একটি শিশু। বয়ম ৪-৫ হবে। প্রবেশ করেই সে নিরাপত্তা কর্মীদের জেরা মুখে পড়েও থাকে অবিচল।
তোমার নাম কি? বিহান শর্মা। তুমি কোথায় যাবে? বেঙ্গালুরু। সেখানে তোমার কে থাকেন? মা। মুখে আঁটোসাঁটো করে বাঁধা মাস্ক। দু’ হাতে গ্লাভস। এক হাতে ধরা ‘স্পেশাল ক্যাটেগরি’ লেখা বোর্ড। হনহন করে একাই হাঁটছে বিহান। হাঁটতে হাঁটতেই নিরাপত্তারক্ষীদের একের পর এক প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে সে। সোমবার দিল্লি বিমানবন্দরে এই শিশুটিই ছিল বিশেষ যাত্রী। তাকে ঘিরে তৎপরতা ছিল সব মহলেই। বিহানকে আদুরে সম্ভাষণ জানাতে তৈরি ছিলেন বিমান সেবিকারাও। সেই সম্ভাষণ গ্রহণ করে বেঙ্গালুরুগামী বিমানে উঠে বসে বছর পাঁচেকের বিহান।
টানা প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর এদিনই প্রথম চালু হল অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবা। সকালেই দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছে যায় বিহান। তার জন্য স্পেশাল টিকিটের ব্যবস্থা করে দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। লকডাউনের জেরে দিল্লিতে আটকে পড়েছিল এদিনের সর্বকনিষ্ঠ বিশেষ যাত্রী। খুব সম্ভবত কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল বিহান। তিন মাস পর বেঙ্গালুরুতে মায়ের কাছে ফিরছে সে। এবং একাই।
বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিহানকে নিতে হাজির ছিলেন তার মা। সকাল ন’টার মধ্যেই বিহানের বিমান অবতরণ করে। তিন মাস পর মাকে কাছে পেয়ে খুশি সে। আর মা বলছিলেন, ‘প্রায় তিন মাস দিল্লিতে আটকে ছিল বিহান। আজ সে একাই দিল্লি থেকে বিমানে বেঙ্গালুরু ফিরে এসেছে। আমরা সকলেই ওকে নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। এখন ছেলেকে কাছে পেয়ে নিশ্চিন্ত হলাম।’
সূত্র : বর্তমান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন