গত ফেব্রæয়ারিতে একটি মংগ্রেল কুকুরকে প্রথম দেখা যায় চীনের এক হাসপাতালে। সাত বছর বয়সের কুকুরটির নাম জিয়া বাও। প্রথম দিনের পর থেকে প্রায় টানা তিন মাস জিয়া বাওকে হাসপাতালের কর্মীরা বসে থাকতে দেখেন। অনেক চেষ্টা করেও তাকে সরানো যায়নি। আসলে জিয়া বাওয়ের মালিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর থেকেই তার ঘরে ফেরার অপেক্ষায় বসে ছিল সে।
হুবেই প্রদেশে উহান তাইকাং হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন ওই ব্যক্তি। তার সঙ্গে কুকুরটি হাসপাতালে উপস্থিত হয়। অপেক্ষায় থাকে কবে ফিরবেন মালিক। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পাঁচ দিন পরই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। জিয়া বাও তার মালিকের মৃত্যুর পরও অপেক্ষা করতে থাকে তার ফেরার।
কিছুদিন পর হাসপাতালের কর্মীরা তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দূরে রেখে আসেন। কিন্তু সব চেষ্টাই বৃথা। ফের হাসপাতালে ঢুকে পড়ে জিয়া বাও। হাসপাতাল কর্মীরাও তার মনের কষ্ট বুঝতে পারেন। যতটা সম্ভব তার খাবারের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু সেই সময় একটি কুকুরের দিকে নজর দেওয়া তাদের পক্ষেও সম্ভব ছিল না। এই করে প্রায় তিন মাস কেটে যায়।
এর পর আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করে চীনের পরিস্থিতি। হাসপাতালের কাছের সুপার মার্কেটও খোলে। মার্কেটের লোকজন তার খাবারের ব্যবস্থা করেন। মার্কেটের মালিক জিয়া বাওয়ের কাহিনী শোনেন। তিনিও জিয়ারের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। তাকে নিজের দোকানে নিয়ে আসেন। পরে জিয়া বাওকে উহানের একটি ছোট পশু সংরক্ষণ কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জিয়া বাওয়ের এমন কাহিনী ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। তার প্রশংসা করেছেন নেটিজনরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন