ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইউরোপে কমে আসলেও ব্রাজিল, ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে। আক্রান্তের দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বে ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ভারত। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি একের পর এক চিকিৎসক, নার্স, পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। রাজ্যের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করেই বাংলায় লকডাউন আরও বাড়ানোর ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ১০ জুন পর্যন্ত অন্যান্য রাজ্য থেকে আরও অনেক ট্রেন আসবে। সব মিলিয়ে ১১ লাখেরও বেশি মানুষ ঢুকবে বাইরে থেকে। ফলে সতর্কতা বজায় রাখতেই হবে।
গত শনিবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন চলবে। তবে লকডাউনের এই পর্বে সবকিছু বন্ধ থাকবে না। ধাপে ধাপে শিথিল হবে। প্রথম ধাপ হচ্ছে আনলক ১। এই ধাপে ৮ জুন অর্থাৎ থেকে সারা দেশে সব রেস্তোরাঁ, শপিংমল, ধর্মস্থান নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে খুলে গিয়েছে। নির্দেশিকা বলা হয়, কন্টেনমেন্ট জোনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া আর কিছু খোলা থাকবে না। রাজ্যও সেই নির্দেশিকা মেনেই এগোচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন জানান, রাজ্যের কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে সবরকম কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হবে।
এদিকে, করোনার সংক্রমণ এড়াতে বাসের চেয়ে বাইক-সাইকেল অনেক বেশি নিরাপদ বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। গত কয়েকদিনে লাফিয়ে বেড়েছে সাইকেল-বাইক কেনার হিড়িক। কলকাতার রাস্তায় গত কয়েক সপ্তাহে সাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে। সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই এদিন কলকাতার ছোট এবং মাঝারি রাস্তা গুলোতে এবার সাইকেল চালানোর অনুমতি দিল রাজ্য সরকার।
ভাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিকাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৮৭। মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৯৬ জনের। সূত্র: নিউজ ১৮।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন