শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আফগানিস্তানে বেসামরিক হতাহত ব্যাপক বৃদ্ধি

প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সম্মুখ যুদ্ধই প্রধান কারণ : জাতিসংঘ 
ইনকিলাব ডেস্ক : ২০১৬ সালের প্রথমার্ধে আফগানিস্তানে বেসামরিক নাগরিক হতাহতের হার রেকর্ড পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশেষ করে লড়াইয়ে চরম মূল্য দিচ্ছে শিশুরা। ২০০৯ সালের পর থেকে যে কোনও বছরের ছয়মাসের তুলনায় এ বছরের প্রথমার্ধে অনেক বেশি শিশু নিহত কিংবা আহত হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধের কারণে বেসামরিক নাগরিক হতাহতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এ বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত আফগানিস্তানে ১,৬০১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৩,৫৬৫ জন আহত হয়েছে। ইউনাইটেড নেশন্স অ্যাসিস্টেন্স মিশন ইন আফগানিস্তানের (ইউএনএএমএ) তথ্যানুযায়ী, গত বছরের তুলনায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের সংখ্যা ৪ শতাংশ বড়েছে। ২০০৯ সাল থেকে জাতিসংঘ আফগানিস্তানে হতাহতের সংখ্যার প্রামাণিক দলিল রাখা শুরু করে। তারপর থেকে এ বছর ছয় মাসে এটাই সবচেয়ে বেশি বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা।
ইউএনএএমএ প্রধান টাডামিচি ইয়ামামতো বলেন, এই প্রতিবেদনে হতাহতের প্রতিটি ঘটনার তথ্য রয়েছে। বেসামরিক নাগরিক হতাহতের প্রতিটি ঘটনা বারবার প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। এই দুর্ভোগ প্রশমনে যুদ্ধরত প্রতিটি পক্ষকে অর্থবহ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো উচিত। অর্থবহ পদক্ষেপ ছাড়া যে কোনো প্রতিশ্রুতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মিথ্যায় পরিণত হয়।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, হতাহতদের মধ্যে ১,৫০৯টি শিশু রয়েছে। যা মোট হতাহতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এ অবস্থাকে বিপদসঙ্কেত ও লজ্জাজনক বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত জঙ্গি হামলা দায়ী। যদিও সরকারি বাহিনীর অভিযানও এতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিবিসি, রয়টার্স।

আসামে উঁচু জায়গার সন্ধানে ছুটছে হাতিরা
পশ্চিমবঙ্গে বন্যায় ৪ জনের মৃত্যু
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় তিনটি জেলায় বন্যার কারণে অন্ততপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার কারণে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী জাভেদ খান জানিয়েছেন, গেল অন্ততপক্ষে ২৪ ঘণ্টায় ওই তিনটি জেলার ১৫০টি গ্রাম বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এতে প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে তারা পানিতে ডুবে, দেয়াল ধসে ও সাপের কামড়ে মারা গেছেন।
বন্যার কারণে প্রশাসন জলপাইগুড়ি জেলায় রেড এলার্ট জারি করেছে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা। জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হল- কালচিনি, চিতমহল, কুমারগ্রাম, ফুলবাড়ি এবং দাবগ্রাম। বন্যাকবলিত জেলাগুলিতে ৪৩ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাভেদ খান। এছাড়া বন্যার কারণে যারা অস্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন তাদের ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তিনি। রাজ্যটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিকিম ও ভুটানে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে ডুয়ার্সের নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।
আলিপুরদুয়ারে কয়েকটি মাটির বাঁধ ভেঙে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জলপাইগুড়ির লাটাগুড়ি ও জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের বন্যপ্রাণীরা বন্যার কারণে বিপদাপন্ন হয়ে আছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, বন্যাকবলিত আসাম রাজ্যের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের হাতিরা সাঁতার কেটে বন্যার পানি পার হয়ে উঁচু জায়গায় চলে যাচ্ছে। বিবিসির আলোকচিত্রী শুভময় ভট্টাচার্য কাজিরাঙ্গায় বন্যার পানিতে সাঁতাররত একদল হাতির ছবি তুলেছেন। এসব হাতি উঁচু শুকনা জায়গার খোঁজে ভারতের একটি জাতীয় মহাসড়ক পার হয়ে আরেক দিকে চলে যায়। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণী উদ্যান কাজিরাঙ্গার শত শত প্রাণী বন্যার পানি থেকে বাঁচতে উদ্যান সংলগ্ন কারবি আংলোং পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। এসব প্রাণীর মধ্যে বিপন্নপ্রায় একশিঙ্গি গন্ডার, হাতি, হরিণ ও বাঘ রয়েছে। হাতির দল পার হওয়ার সময় তাদের নিরাপদে পার হতে দিতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ৪৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাজিরাঙ্গা উদ্যানটি ব্রহ্মপুত্র নদের দক্ষিণ তীরেজুড়ে ছড়িয়ে আছে। বর্ষাকাল ভারী বৃষ্টিপাত হলে উদ্যানটি প্রায়ই ডুবে যায়। বিশ্বব্যাপী টিকে থাকা তিন হাজার ৩০০ একশিঙ্গি গন্ডারের মধ্যে দুই হাজার ৪০০টি কাজিরাঙ্গায় আছে। এনডিটিভি, বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন