এবার ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের পক্ষ থেকে মহাত্মা গান্ধীর বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে তাঁর মূর্তি অপসারণের দাবি তোলা হয়েছে। মধ্য ইংল্যান্ডের লিচেস্টার শহরে থাকা ভারতের স্বাধীনতার নেতা মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধীর একটি ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার এক আবেদনের পক্ষে ৬,০০০ লোক সই করেছেন। অনলাইন ওই পিটিশনে মহাত্মা গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘বর্ণবাদের’ অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এই আবেদনপত্রে গান্ধীকে একজন "ফ্যাসিবাদী, বর্ণবাদী এবং শিশু যৌন নির্যাতনকারী" হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিস্টলে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকারীরা সপ্তদশ শতকের দাস ব্যবসায়ী এডওয়ার্ড কোলস্টনের মূর্তি নামিয়ে ফেলার পরপরই গান্ধীর মূর্তি অপসারণে পিটিশন দাখিলের বিষয়টি প্রথম সামনে আসে। এর আগে গত বছর ম্যানচেস্টারের কিছু শিক্ষার্থী একই দাবি তুলেছিলেন। সেখানেও গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বর্ণবাদী মনোভাবের’ অভিযোগ তোলা হয়। আর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এই একই অভিযোগ তুলে হওয়া আন্দোলনের মুখে ঘানার ঘানা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে থাকা গান্ধীর মূর্তি অপসারণ করা হয়। এবার লিচেস্টারের মূর্তিটি অপসারণেরও আন্দোলন হচ্ছে।
লিচেস্টার ইস্টের এমপি ক্লডিয়া উইবি সাম্প্রতিক এই পিটিশনকে ‘ভয়াবহ বিভ্রান্তি’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকে পথচ্যুত করবে। তিনি বলেন, ‘মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো করেই একটি আন্দোলনের জন্ম দিয়েছিলেন গান্ধী। ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার যেমন, তেমনি তাঁর অহিংস আন্দোলনের পথ পরিবর্তনের এক অনন্য শক্তি।’
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর পর 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স' নামে বর্ণবাদ-বিরোধী আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে ব্রিটেনেও। তারই পথ ধরে বহু ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের ভাস্কর্য এবং সৌধ ভেঙে ফেলার দাবি উঠেছে। বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন