শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বুলগেরিয়ায় বোরকা নিষিদ্ধ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া

প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বুলগেরিয়ার পাজারজিক শহরে বোরকা নিষিদ্ধ করা নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বোরখা নিষিদ্ধ এলাকায় মুসলিম নারীরা এখন খুব কমই ঘর ছেড়ে বাইরে বের হচ্ছে। ডয়েচে ভেলের এক রিপোর্টে এ খবর জানা যায়। বোরকা নিষিদ্ধের ফলে ষোল বছর বয়সী মালিসা কারতালোভাকে একটি বড় ধরণের ঝঁকির সম্মুখীন হতে হয়। কয়েকদিন আগে সে বোরখা পরে এক আত্মীয়ের গাড়িতে চেপে বের হয়েছিলেন। অল্পকিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে মালিসার বহনকারী গাড়িটি থামায় এবং পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায়। গত একমাস আগে বুলগেরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর পাজারজিক শহরে পুরো শরীর আবৃত করা অর্থাৎ বোরখা জাতীয় পেশাকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। তাতে ১৯৮০ সালে কমিউনিস্ট শাসন ছিল তা বোঝা যায়, ১৯৯০ সালে জাতীয় পর্যায়ে প্রত্যাহার করা হয়। পাজারজিক শহরে নেকাব পরে নারীরা রাস্তায় বের হলে প্রথম দফায় ১৫০ ইউরো এবং দ্বিতীয় দফায় ৫শ’ ইউরো জরিমানা করা হয়। যা বুলগেরিয়ার এক মাসের বেতনের সমান। মালিসাকে পুলিশ নেকাব সরানোর জন্য তাগিদ দিলে ইতিমধ্যেই জরিমানা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। সভেতলা নামের একজন ৪০ বছরের মুসলিম নারী বলেন, এটা ন্যক্কারজনক। সভেতলা এবং মালিসা পাজারজিকের আবু বকর মসজিদের মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কক্ষের মেঝেতে বসে ছিলেন। সেখানে আরো ৩০জন মুসলিম মহিলা বসে ছিলেন যারা নেকাব ব্যবহার করেন। তাদের মধ্যেও ৭ থেকে ৮ জন এ ধরনের জরিমানা দিয়েছেন বলে ডন নিউজ জানায়। পুলিশ প্রধান ইভান গেনচভ তার বিবৃতিতে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি। তিনি বলেন, আমি তাদের ঐতিহ্য, রীতিনীতি, ধর্ম ও তাদের জীবন সম্পর্কে জানি, এটা সম্পর্কে বলার কিছু নেই বলে ডয়েচে ভেলেকে জানান। আনুমানিক ৩০ হাজার লোক পাজারজিকের বাসিন্দা, তার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ তুর্কী-ভাষী মুসলমান বাস করে। সেখানে আবু বকর মসজিদ ১৪ জন ইসলাম চরমপন্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তাদের মধ্যে সভেতলার স্বামী আহমেদ মুসা একজন। গত ছয় মাসের জন্য জেল হয়েছে তার। সভেতলা তাকে একবার দেখার জন্য গিয়ে হয়রানির শিকার হয়। নেকাব খুলে পুরো শরীর তল্লাশি করে একজন মহিলা কিন্তু সেখানে একজন পুরুষের উপস্থিতিতে। যে ব্যাপারটি তিনি কল্পনাও করতে পারেন না। ফলে সভেতলা বাড়িতেই থাকেন। ডয়েচে ভেলে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন