ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের শিশুশ্রম বিলের বেশ কিছু বিতর্কিত সংশোধনীর সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এক কোটির বেশি শিশুশ্রমিক রয়েছে। ভারতের পার্লামেন্ট গত মঙ্গলবার সংশোধিত শিশুশ্রম বিল অনুমোদন করেছে। নতুন বিলে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুকে দিয়ে কাজ করানোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে- কিন্তু ‘পারিবারিক ব্যবসায়’ ওইসব শিশুদের কাজে লাগানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। এমনকি যৌথ পারিবারের ক্ষেত্রেও এই সুযোগ রয়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যায় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই আইন দরিদ্র পরিবারের জীবনযাত্রা ব্যয় নির্বাহে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে শিশুদের দক্ষতাও বৃদ্ধি করবে। পার্লামেন্টে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী বান্দারু দত্তত্রেয় বলেন, “নতুন বিলে এই ছাড় (পারিবারিক ব্যবসায় শিশুদের নিয়োগের সুযোগ) দেওয়ায় এখন সরকার শিশুশ্রম আইন বাস্তবে কার্যকর করতে সক্ষম হবে।” “নতুন বিলে (শিশুদের) সুরক্ষার জন্য আমরা অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।” যদিও সমাজ কর্মীদের দাবি, স্কুল সময়ের পর এবং ছুটির দিনে শিশুদের পারিবারিক ব্যবসায় কাজে লাগানোর সুযোগ থাকার অর্থ- হীরা কাটা, ময়লা পরিষ্কার করা, কসাইখানায়, ইটের ভাটায় ও গৃহকর্মী হিসেবে শিশুদের কাজে লাগানো যাবে। ভারতের বর্তমান শ্রম আইনে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের শুধুমাত্র বিপজ্জনক কাজে নিয়োজিত করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি নতুন বিলে অনুমোদন দিলেই এটি আইনে পরিণত হবে। সংশোধিত নতুন বিলে শিশুশ্রমিক নিয়োগকারীদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং ভারতের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী নতুন বিলের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এই বিল ভারতের জন্য ‘সুযোগ নষ্ট’ করা। ওদিকে, ভারতে ইউনিসেফের শিক্ষা বিভাগের প্রধান ইউফ্রেটিস গোবিন বলেন, “নতুন শিশুশ্রম অধ্যাদেশের অধীনে কয়েক ধরণের শিশুশ্রম হয়ত আর দৃশ্যমান থাকবে না এবং হয়ত সবচেয়ে অরক্ষিত ও প্রান্তিক শিশুদের অনিয়মিত বিদ্যালয়ে গমন ও স্বল্প শিক্ষিত হওয়ার আর সম্ভাবনা থাকবে না। বিবিসি, রয়টার্স, এপি, এএফপি ও আলজাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন