আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে ‘শহীদ’ বলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্কের অবনতি বিষয়ে পাকিস্তানের সংসদে কথা বলার সময় এই মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে ইমরান খান তার প্রায় দুই বছরের পুরানো সরকারের বৈদেশিক নীতি অর্জনের কথা তুলে ধরেন, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন যুদ্ধে অংশীদার থাকা সত্তে¡ও, পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ শহরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী বিন লাদেনকে ২০১১ সালে হত্যা করার পর থেকে তার দেশের সঙ্গে ওয়াশিংটনের একটি অশান্ত সম্পর্ক বিরাজ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের (যুক্তরাষ্ট্রকে) সমর্থন দিয়েছি এবং তার বিনিময়ে আমার দেশকে যে পরিমাণ অপমান সহ্য করতে হয়েছে, আমার মনে হয় না সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সমর্থন দিয়ে কোনো দেশকে কখনো এতটা অপমানিত হতে হয়েছে।’
মার্কিন বাহিনী পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে পাকিস্তানের ভেতরে ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘তারা অ্যাবোটাবাদে এসে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে, শহীদ করে দেয়। আমাদের মিত্র আমাদের অজ্ঞাতে আমাদের দেশের ভেতরে ঢুকে একজনকে মেরে ফেলে, এবং আমাদেরকেই জানায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর এরপর পুরো পৃথিবীর মানুষ আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে। সে সময় পৃথিবীর যত দেশে পাকিস্তানিরা ছিল, তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার খানের এই মন্তব্য বিরোধী সংসদ সদস্য এবং সামাজিক মাধ্যম কর্মীদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করে। কেউ কেউ এটিকে ‘মুখ ফসকে বলে ফেলা হয়েছে’ হিসাবে অভিহিত করলেও অন্যরা এই মন্তব্যের নিন্দা ও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন