শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অঙ্গ সংগঠনগুলোর প্রতি সহযোগীতার আহ্বান অলির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২০, ৫:০২ পিএম

ভারত বিরোধিতার জেরে নিজের দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে যাওয়ার পরে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, তার দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির অঙ্গ সংগঠনগুলোর কাছে সমর্থন চাইছেন। বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, অলি যদি মানুষের প্রত্যাশা মেনে চলে থাকেন, তবে তার সমর্থনে তারা আওয়াজ তুলবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অলি তার দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতাদের তার বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান এবং বিভিন্ন ফ্রন্টে তার জন্য একটি ‘অনুকূল পরিবেশ’ তৈরি করতে বলেন। বিদেশী সেনাবাহিনী তাকে উৎখাত করতে চায় বলে উল্লেখ করে তিনি ছাত্র ও যুবকদের এই জাতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে বলেন।

এ বিষয়ে অল নেপাল ন্যাশনাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টুডেন্ট ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য নরেশ রেগমি পোস্টকে বলেছেন, ‘এমনকি অঙ্গ সংগঠনের সাধারণ সদস্যদেরকে অলি ও তার সরকারের পক্ষে মতামত জরিপে ভোট দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’ তিনি বলেছিলেন যে, অলি এবং তার সহযোগীরা দলীয় নেতাদের দেখাতে চান যে তিনি এখনও জনসাধারণের কাছ থেকে সমর্থন পাচ্ছেন।

একাধিক শিক্ষার্থী ও যুব নেতার সকলেই বৃহস্পতিবার অলির সাথে একটি বৈঠক করেছিলেন যা মধ্যরাত অবধি চলে। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির আইন প্রণেতা মহেশ বাসনেটের নেতৃত্বে এই গ্রুপে ছাত্র উইংয়ের সমন্বয়কারী আইন মাহর এবং ছাত্র ও যুব শাখার নেত্রী সুনিতা বড়াল এবং রমেশ পাউদেল উপস্থিত ছিলেন।

দলটির মিত্র হিসাবে বিবেচিত আরেক ছাত্র নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের রাস্তায় নামতে বলেননি। তবে যুবক ও শিক্ষার্থীদের নিজেদেরই দায়িত্ব তার এবং সরকারের পক্ষে ‘অনুকূল পরিবেশ তৈরি’ করা। প্রতিপক্ষের ছাত্র ও যুব নেতারা অবশ্য দাবি করেছেন যে, অলি তাদেরকে রাজপথে প্রতিবাদ করতে বলেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রী হয়ে অলি যদি তার পক্ষে রাজপথে সমাবেশ চান, তবে তা লজ্জার বিষয়। অলি তার পূর্বসূরীদের সবাইকে রাজনৈতিক অমানবিকতার দিক থেকে পিছনে ফেলেছে। সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন