শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজনীতি

মানবেতর জীবন-যাপন করছে ছাত্ররা : রাষ্ট্রকে মানবিক আচরণ করার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২০, ৮:৫০ পিএম

করোনাভাইরাসের কারণে লাখ লাখ শিক্ষার্থী কর্মহীন হয়ে পড়েছে। টিউশনি করে যারা পড়াশুনার ব্যয় বহন করতেন, পরিবার চালাতে তারা মানবেতন জীবন-যাপন করছেন। এসব শিক্ষার্থীর প্রতি রাষ্ট্রকে মানবিক আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন। বাড়িওয়ালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সনদ ও মালপত্র ফেলে দেয়ার প্রতিবাদে এবং শাস্তির দাবিতে রোববার (৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রদল আয়োজিত মানববন্ধণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধণ থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি বাড়িওয়ালা-হোস্টেল মালিকদের মানবিক আচরণ করার আহ্বান জানানো হয়।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, সরকারের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে সারাদেশ আজকে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। সরকার সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবা দিতে পারেনি, চিকিৎসা না পেয়ে অসংখ্য মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। অন্যদিকে মানুষের জান-মালের নিরাপত্তাও দিতে পারছে না। সাধারণ ছাত্রদের ওপর নানারকম নির্যাতন নেমে আসছে। আর এসবের প্রতিবাদ যারা করছে, সরকারের দুর্নীতির যারা সমালোচনা করছে তাদেরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে জেলখানায় পাঠানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনার কারণে আজকে সারাদেশের মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বেকার সমস্যা বাড়ছে। শিক্ষার্থীরা চরম সঙ্কটে পড়েছে। বিশেষ করে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে লাখ লাখ শিক্ষার্থী মেসে থেকে পড়াশুনা করছে, অনেকেই টিউশনি করে তাদের পড়াশুনার খরচ বহন করে, কেউ কেউ টিউশনির টাকা দিয়ে নিজের পরিবারও চালায়। কিন্তু করোনার সময় যারা টিউশনি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতো তারা এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছে। মেসের ভাড়া দিতে পারছেন না অনেকেই। আর এজন্য তাদেরকে মেস থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। তাদের মালামাল বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে, এমনকি শিক্ষার্থীদের কষ্টার্জিত সার্টিফিকেট ডাস্টবিনে পাওয়া যাচ্ছে, ছিড়ে ফেলা হচ্ছে, পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, যেসব শিক্ষার্থীকে বের করে দেয়া হয়েছে, সার্টিফিকেট নষ্ট করা হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। রাষ্ট্রকে ছাত্রসমাজের প্রতি মানবিক আচরণ করার আহ্বান জানান তিনি।

সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, সরকারের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে আজকে শিক্ষার্থীদের সনদ ছিড়ে ফেলা, ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। সরকারের এমন উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে যদি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে গণআন্দোলনের ডাক দিবে। যেই আন্দোলনে এই ফ্যাসিস্ট সরকার পতন হবে।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজি রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ, সিনিয়ির যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব। উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি আশরাফ ফকির লিঙ্কন, হাফিজুর রহমান হাফিজ, মাজেদুল ইসলাম, সাজিদ হাসান বাবু, মিজানুর রহমান সজীব, মোসাব্বির শাফি, গোলাম মোক্তাদির তরু, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন রাজু, তানজিল হাসান, আরিফুল হক, মাহমুদ সরদার, আবদুল্লাহ আল জোবায়ের, মারুফ এলাহি রনি, সহ-সাধারণ সম্পাদক আাক্তার হোসেন, মাইনুদ্দিন নিলয়, জামিল হোসাইন, আলাউদ্দিন, জেসমিন জুই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন