ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক বেসামরিক মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে মানবিক কারণে খুলে দেয়া করিডোরগুলো ব্যবহার করে এলাকা ত্যাগ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানানো হয়, বাসে করে সাধারণ মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাছাড়া কিছুসংখ্যক বিদ্রোহী সদস্যকে সরকারি বাহিনী ঘিরে রেখেছে বলেও খবরে বলা হয়। রাশিয়া এবং সিরিয়ার সৈন্যবাহিনী এই করিডোরগুলো স্থাপন করেছে। জাতিসংঘের একজন বিশেষ দূত বলেছেন, এসব করিডোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব জাতিসংঘের হাতে থাকা উচিত এবং লোকজন যাতে সহজে এলাকা ছাড়তে পারে সেজন্য, ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দেয়া দরকার। প্রায় তিন লাখ মানুষ এখনো ওই শহরে অবরুদ্ধ হয়ে আছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নারী ও শিশুদের ছবিও প্রচার করা হয়েছে। যেখানে তাদের বাসে করে এলাকা ছাড়তে দেখা যায়। সাথে অস্ত্রধারী একদল লোক যারা সরকারি বাহিনীর সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার একজন মুখপাত্র জানান, ১৬৯ জন বেসামরিক মানুষ এলাকা ছেড়েছেন। আরো কিছু করিডোর স্থাপন করা হবে বলেও জানানো হয়। এছাড়া ছয়টি অস্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে বিরোধী দলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তথাকথিত মানবিক অভিযান ছিল একটি ধোঁকা মাত্র। এই উচ্ছেদ পরিকল্পনার বিষয়ে পশ্চিমা শক্তিগুলো এরই মধ্যে শীতল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, শহর থেকে বিদ্রোহীদের হঠানোর উদ্দেশ্যে এ ধরনের প্রস্তাবের মাধ্যমে চাতুর্যের আশ্রয় নেয়া হতে পারে। এর আগে খবরে বলা হয়, গৃহযুদ্ধকবলিত সিরিয়ার অবরুদ্ধ শহর আলেপ্পো থেকে বেসামরিক লোকজনের বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দেয় আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা রেডক্রস। সিরিয়ার বৃহত্তম এ শহর থেকে সাধারণ মানুষ ও বিদ্রোহীদের বের হওয়ার সুযোগ দিতে চারটি করিডোর (পথ) খোলা হচ্ছে বলে জানায় সিরিয়ার মিত্র রাশিয়া। এই প্রেক্ষাপটে এই দাবি জানাল রেডক্রস। বিদ্রোহীদের পরাস্ত করতে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আলেপ্পোকে কার্যত ঘিরে রেখেছে। করিডোরের তিনটি খোলা হচ্ছে বেসামরিক মানুষ ও নিরস্ত্র বিদ্রোহীদের জন্য। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের জন্য (অস্ত্র ত্যাগ করে আত্মসমর্পণকারী) খোলা হচ্ছে অন্যটি। আলেপ্পোর বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত পূর্বাঞ্চলে প্রায় তিন লাখ মানুষ আটকা পড়ে আছে। বড় সংঘাতের আগে তাদের বেরিয়ে আসার সুযোগ দিতেই মূলত ওই করিডোর খোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সয়গু। এই উদ্যোগকে বড় ধরনের মানবিক তৎপরতা আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, সবার আগে বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এ পদক্ষেপের লক্ষ্য। বিবিসি,রয়টার্স,আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন