কোভিড-১৯ জাতীয় কমিটি ঢাকাসহ ৪ নগরীতে কোরবানির পশুর হাট বসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে আওয়ামী ওলামা লীগ। আওয়ামী ওলামা লীগ নেতারা বলেন,করোনা অথবা যানজটের অজুহাতে কোরবানির পশুর হাট রাজধানীর বাইরে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেশের ৯৮ভাগ মুসলমান ও ওলামা লীগ বরদাশত করবেনা। কোরবানির হাটের সময় ১০ দিন করা হোক। মাত্র ২১টি পশুর হাটের অনুমতি দেয়া হলে কোরবানি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হবে। প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যার ঢাকা শহরে এলাকাভিত্তিক কমপক্ষে ২ শত কোরবানির হাট বসানোর অনুমতি দিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার ১২ দফা দাবিতে আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমাননা ১২ টি দলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি আলহাজ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল জলীল ও মাওলানা শোয়াইব আহমদ গোপালগঞ্জী।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কোরবানির পশুর হাট নিষিদ্ধ করলে বা হাটের সংখ্যা কম করা হলে পবিত্র কোরবানিকে নিরুৎসাহিত করা হবে। এতে সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল হাটের নামে প্রতারিত হবেন কোরবানিদাতা। কাজেই ডিজিটাল পশুর হাট বসানো যাবেনা।
তারা বলেন, কোরবানির হাট ইবাদতের হাট। কাজেই এ হাটে গান বাজনা, গরুর ছবি তোলা ইত্যাদি হারাম কাজ বন্ধ করতে হবে। ডিজিটাল হাটের নামে প্রতারণার ফাঁদ বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি কোরবানির হাটে পর্যপ্ত টয়লেট, এটিএম বুথ, জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন বসাতে হবে। পাশাপাশি কোরবানির পশু পরিবহনের গাড়ীতে চাঁদাবাজি এবং ঈদের দিন চামড়া সংগ্রহে মাস্তানদের উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। কোরবানি করার জন্য স্পট নির্ধারণ করার কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবেনা।
তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত চায় লকডাউনের নামে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে। একইভাবে তাদের এজেন্টরা চাচ্ছে করোনার অজুহাতে পবিত্র কোরবানি বাধাগ্রস্থ করতে। কোরবানির হাট কমিয়ে মুসলমানের ইবাদতের পথকে রুদ্ধ করা যাবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন