বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি মন্দার মুখে পড়েছে জাপান ও সিঙ্গাপুর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২০, ১২:০২ এএম

অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রভাবে ধস নেমেছে অর্থনীতিতে। ৫৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে দেশটির রপ্তানির হার। দেশটির অর্থনীতির প্রায় ৪০ শতাংশই রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গত বছররের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে ২.৯ শতাংশ। ১৯৯৮ সালের পর জিডিপিতে সবচেয়ে বড় পতন এটি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। বৃহস্পতিবার ব্যাংক অব কোরিয়া জানিয়েছে, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিপি হ্রাস পেয়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, যা বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় অনেক বেশি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সেখানে জিডিপি সংকুচিত হয়েছিল প্রায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০০৩ সালের পর এটাই প্রথমবার পরপর দুই প্রান্তিকে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি সংকুচিত হলো। তাছাড়া, এবারের ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক সংকোচনের হারও ১৯৯৮ সালের পর সবচেয়ে বেশি। দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতির ৪০ শতাংশই রপ্তানিনির্ভর। কিন্তু, মহামারির কারণে তাদের রপ্তানি কমে গেছে অন্তত ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ১৯৬৩ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি। একই সময় তাদের আমদানি কমেছে প্রায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে, টেকসই ভোগ্যপণ্য, যেমন গাড়ি বা বাড়ির সরঞ্জামের পেছনে কোরীয়দের ব্যয় বেড়েছে প্রায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ। খবরে বলা হয়, স¤প্রতি প্রকাশিত সরকারি উপাত্ত অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি মন্দার মুখে পড়েছে জাপান ও সিঙ্গাপুরও। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থমন্ত্রী হং নাম-কি প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন যে, দ্রæতই এই অবস্থা থেকে উত্তরণ করতে পারবে দেশটি। তিনি বলেন, মহামারিটির সংক্রমণ কমছে, স্কুল ও হাসপাতাল ফের খুলছে। ফলে মোট উৎপাদন বাড়ছে। তৃতীয় প্রান্তিকে চীনের মতো উত্তরণ দেখা সম্ভব আমাদের পক্ষে। উল্লেখ্য, এখন অবধি করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ২৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার প্রণোদনা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়েছে আরো অনেক দেশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রপ্তানি হার সর্বনিম্নে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে ৬ হাজার ১৩০ কোটি ডলার বাণিজ্য ঘাটতির মুখে পড়েছে দেশটি। দেশটির অর্থমন্ত্রী জশ ফ্রাইডেনবার্গ জানিয়েছেন, এই ঘাটতি আরো বাড়বে। বিবিসি, নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ, আল-জাজিরা।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন