ঢাকা মহানগর দক্ষিণে স্বেচ্ছাসেবক দলের থানা কমিটি ঘোষণা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন মহানগর নেতারা। গত ২২ জুলাই মহানগরের ১১টি থানায় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। এসব কমিটিতে শীর্ষ দুই নেতার লোকজন জায়গা পেয়েছে এবং ত্যাগী নেতাকর্মীরা মূল্যায়িত হয়নি দাবি করে পরদিন ২৩ জুলাই পাল্টা ১০টি থানায় কমিটি ঘোষণা করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রফিক হাওলাদার ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জিলন। বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পর্যন্ত গড়ায়। স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটিও এই পাল্টা-পাল্টি কমিটিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেননি। সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিপরীতে কমিটি ঘোষণাকে সংগঠনবিরোধী কর্মকা- হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও কথা জানান।
এরপর শনিবার (২৫ জুলাই) রফিক হাওলাদার ও আব্দুল কাদের জিলন এক বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে তাদের ঘোষিত ১০টি থানা কমিটি বাতিলের কথা জানান। বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃদ্বয় বলেন, গত সপ্তাহে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি, সম্পাদক প্রায় ২০টি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। ২০টি থানা কমিটিতেই ত্যাগী নির্যাতিত নেতাদের বাদ দিয়ে তাদের পছন্দ মত কমিটি গঠন করেন। কমিটিগুলো ঘোষণা করার পরে বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আমরা যেহেতু মহানগর দক্ষিণের সুপার ফাইভে আছি এবং গত তিনটি বছর ২৪টি থানার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। সেহেতু ত্যাগী নির্যাতিত নেতারা আমাদের কাছে ছুটে আসে, প্রচ- ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ত্যাগী নির্যাতিত কর্মীদের দাবি ও চাপের মুখে আমরা ১০টি থানার আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করি। যা সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী তাই সংগঠনের স্বার্থে, দলকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের ঘোষিত থানা কমিটি বাতিল বলে ঘোষণা করছি। একই সাথে তারা আবেদন করেন যেন ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের মূল্যায়ন করে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন