ব্রাজিলের উগ্র ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই পক্ষের টানাপোড়েনে সমস্যায় পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটার।
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের সুনাম ক্ষুন্ন করতে প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর ঘনিষ্ঠ সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। এছাড়া বলসোনারোর ঐ সমর্থকেরা ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ, এমনকি তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেসানড্রি দে মোরায়েসের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনায় ১২টি ফেসবুক পেজ ও ১৬টি টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেসানড্রি দে মোরায়েস। গত ২৫ জুলাই ফেসবুক ও টুইটার এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্রাজিলের ভেতর থেকে এসব অ্যাকাউন্টে ঢোকা না গেলেও সেটিংসে গিয়ে লোকেশন পরিবর্তন করে সেখানে ঢোকা যাচ্ছিল। কীভাবে সহজে লোকেশন পরিবর্তন করা যায় তার উপায় ঐসব অ্যাকাউন্ট থেকে বলেও দেয়া হয়। এই অবস্থায় ৩০ জুলাই আবারও একটি রায় দেন বিচারক মোরায়েস। এবার তিনি ঐসব অ্যাকাউন্ট এমনভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দেন যেন ব্রাজিলের বাইরে থেকেও এসব অ্যাকাউন্টে ঢোকা না যায়।
নির্দেশ পাওয়ার পর টুইটার সেসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিলেও ফেসবুক প্রথমে রাজি হচ্ছিল না। তাই তাদেরকে তিন লাখ ৬৫ হাজার ডলার জরিমানা করেন বিচারক মোরায়েস। এছাড়া ব্রাজিলে ফেসবুকের প্রধানকে আদালতে ডেকে পাঠানো হয়। এরপর ফেসবুকও বিচারক মোরায়েসের রায় মেনে আলোচিত অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেয়। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবে বলেও জানিয়েছে।
এদিকে, অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেয়ার দাবিতে মামলা করেছেন প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। বলসোনারো তার সমর্থকদের পুলিশি তদন্ত থেকে বাঁচাতে বিচারককে বাধাগ্রস্ত করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়েও তদন্ত করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সূত্র: এএফপি, এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন