জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর হচ্ছেন মনোজ সিনহা।জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তির দিন ছিল গতকাল ৫ আগস্ট। গতকালই জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন প্রাক্তন আমলা জিসি মুর্মু। -দি ওয়াল
২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই উপত্যকার নতুন সাংবিধানিক প্রধান ঠিক করে ফেললো ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরের পরবর্তী লেফটেন্যান্ট গভর্নর হচ্ছেন গাজিপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহা। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তিন বারের সাংসদ ছিলেন মনোজ সিনহা। প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারে রেলপ্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। কিন্তু উনিশের ভোটে গাজিপুরে বহুজন সমাজ পার্টির প্রার্থী আফজল আনসারির কাছে হেরে যান ৬১ বছর বয়সী মনোজ। এবার তাঁকে জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক প্রধান করল কেন্দ্র। আগামী কাল, ৭ অগস্ট শপথ নিতে পারেন রাজীব।
এদিকে জিসি মুর্মুর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ১৯৮৫ ব্যাচের গুজরাত ক্যাডারের অফিসার ছিলেন মুর্মু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী তখন সেই রাজ্য প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন এই আমলা। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে নিয়ে আসা হয় মুর্মুকে। গত বছর নভেম্বরে ছিল জিসি মুর্মুর অবসর। কিন্তু তার আগেই অক্টোবরে দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল করা হয় তাঁকে।
জিসি মুর্মুর পদত্যাগের পর সরকারের একটি সূত্রে বলা হচ্ছিল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মহাঋষিকে জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন লেফটেন্যান্ট জেনারেল করতে পারে নয়াদিল্লি। তবে তাঁদের কেউ কেউ এও বলছিলেন, কেন্দ্র যদি চায় কাশ্মীরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হোক তাহলে এমন কাউকে দায়িত্ব দিতে পারে যিনি কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সংযোগ রেখে চলতে পারেন। দেখা গেল সেটাই করল নয়াদিল্লি। পোড় খাওয়া রাজনীতিক তথা তিন বারের সাংসদকে জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক প্রধান করে পাঠাচ্ছে কেন্দ্র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন