শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

প্রতিদিন ৪৮ লক্ষাধিক নমুনা পরীক্ষা

চীনা ভ্যাকসিনের ৩য় ধাপের ট্রায়াল ইন্দোনেশিয়ায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২০, ১২:০৩ এএম

চীনে নতুন করে ৫৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩৭ জনের শরীরে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। আর বাকিদের কোনো উপসর্গ নেই। বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) এ তথ্য জানিয়েছে। এনএইচসি সব সময় উপসর্গযুক্ত ও উপসর্গবিহীন রোগীদের আলাদা করে হিসাব করে থাকে। তবে এর মধ্যে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির হিসাবে, চীনের এখন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ৮৮ হাজার ৩২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৭৭ জন। এ পরিস্থিতিতে চীন ব্যাপকভাবে করোনা পরীক্ষা শুরু করেছে। চীনের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ওয়াং শিয়াংপিং বলেছেন, জুলাইয়ের শেষ নাগাদ চীন দৈনিক ৪৮ লাখ ৪০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করেছে। ব্যাপকভিত্তিক এই করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করছে দেশব্যাপী প্রায় ৫ হাজার মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং ৩৮ হাজার টেকনিশিয়ান। ওয়াং বলেন, হাসপাতাল, ডিজিস কন্ট্রোল সেন্টার, বন্দর ও কাস্টম এবং থার্ডপার্টি টেস্টিং এজেন্সিগুলোতে প্রায় ২০ কোটি টেস্টিং কিট সরবরাহ করা হয়েছে। সিএনএন এ খবর জানায়। অপরদিকে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ায়। আগামী সপ্তাহেই মানবদেহে এর পরীক্ষাম‚লক প্রয়োগ শুরু হবে। এ ট্রায়ালে সিনোভ্যাকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়ো ফার্মা। বানডুংয়ের পাজ্জাজারান ইউনিভার্সিটির প্রধান গবেষক কুসনান্দি রুসমিল জানান, আগামী ১১ আগস্ট থেকে ১ হাজার ৬২০ জন স্বেচ্ছাসেবক ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেবেন। তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। তিনি জানান, অর্ধেক স্বেচ্ছাসেবকদের ছয় মাস ভ্যাকসিন দেয়া হবে, বাকিরা সাধারণ প্লাসেবো (স্যালাইন জাতীয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ওষুধ) গ্রহণ করবেন। ইতোমধ্যেই ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবক ট্রায়ালের জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে জানিয়েছেন রুসমিল। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিষয়ক মন্ত্রী এরিক থোহির জানিয়েছেন, সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন কার্যকর প্রমাণিত হলে বছরে ২৫ কোটি ডোজ তৈরি করতে পারবে বায়ো ফার্মা। প‚র্ব এশিয়ার মধ্যে করোনায় সর্বাধিক মানুষ মারা গেছে ইন্দোনেশিয়ায়। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৭১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ হাজার ৪৩২ জন। সিএনএন, রয়টার্স।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন