ইরানের ওপর জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। কারণ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার মার্কিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। উত্থাপিত প্রস্তাবে ১১ দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। আর এর পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে দুটি করে।
যুক্তরাষ্ট্রেরর পক্ষ থেকে উত্থাপিত ওই প্রস্তাবে ১১টি দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। এর পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে দু’টি করে। যুক্তরাষ্ট্র ও ডোমিনিকান রিপাবলিক পক্ষে এবং চীন ও রাশিয়া এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। বাকি কোনো দেশ ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৪ আগষ্ট) অনলাইনে নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় এখন পরমাণু সমঝোতার ভিত্তিতে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ইরানের ওপর জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এর ফলে এখন থেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমরাস্ত্র বেচাকেনা করতে পারবে ইরান।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দাবি করেছেন, প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও তার দেশ এ সংক্রান্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
এই প্রস্তাব গত মঙ্গলবারই প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে তুলতে চেয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু ওয়াশিংটন যখন বুঝতে পারে এটি পাস হবে না, তখন এটি উত্থাপন করা থেকে বিরত থাকে। পরে মার্কিন সরকার প্রস্তাবে ইরানবিরোধী বক্তব্যের তীব্রতা কমিয়ে আনে, যাতে এটির পক্ষে সব দেশের ভোট আদায় করা যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমেরিকার সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হলো।
২০১৫ সালে ইরান ছয় বিশ্ব পরাশক্তির সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তেহরানের ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এর ফলে আগামী অক্টোবর মাস থেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমরাস্ত্র বেচাকেনা করতে আর কোন বাধা থাকছে না ইরানের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন