২০২০ সালের জুলাই মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে যে তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছে, তাদের ব্যাপারে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, নিহত তিনজন জঙ্গি ছিল এবং তারা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপর গুলি ছোড়ার পর পাল্টা গুলিতে তারা নিহত হয়। ১৮ জুলাই শোপিয়ান এলাকায় এক অভিযানের সময় এই সংঘর্ষ হয়। পরে তাদেরকে বারামুল্লা জেলায় কবর দেয়া হয়। কিন্তু নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, তারা ছিল শ্রমিক এবং কাজের খোঁজে বের হয়েছিল তারা। রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানানোর পর ১০ আগস্ট সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া ডিরেক্টর মীনাক্ষি গাঙ্গুলি বলেন, “কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে দায়মুক্তির সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এর আগে সেনাবাহিনী যে সব তদন্ত করেছে, সেখানে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার চেয়ে সেনা সদস্যদের রক্ষা করার দিকে মনোযোগ ছিল বেশি। কাশ্মীরে সহিংসতার চক্রের অবসানের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, যদি না নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরকে তাদের অতীত ও বর্তমান কাজের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা না হয়”। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, তাদের সাথে সবশেষ ১৭ জুলাই তাদের যোগাযোগ হয়েছে। কাজের খোঁজে শোপিয়ান যাওয়ার পর এই যোগাযোগ হয়। পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিল যে, তাদেরকে হয়তো কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, এবং এর পর থেকে তাদের সাথে আর যোগাযোগ হয়নি। শোপিয়ানে নিহতদের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর সেগুলো দেখে তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের স্বজনেরা। তারা পুলিশ স্টেশানে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করেছেন। পুলিশও জানিয়েছে, তারা হত্যার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, এই হত্যাকান্ড নিয়ে সামরিক বাহিনীর যে কোন তদন্ত হবে অর্থহীন। কারণ, আর্মড ফোর্সেস (স্পেশাল পাওয়ার্স) অ্যাক্টে নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। এসএএম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন