করোনাভাইরাস একেকবার একেক চরিত্র ধারণ করছে । শুধু তাই নয়, বিবর্তনও হচ্ছে এই ভাইরাসের। আর তাতেই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে পড়ছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাসের নতুন একটি প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই প্রজাতি সাধারণ করোনাভাইরাসের তুলনায় ১০ গুণ বেশি সংক্রামক, এমনটাই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।- স্ট্রেইটস টাইমস
এর আগে ইউরোপের অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে এমন ভাইরাস, যাকে বলা হয় ডি৬১৪জি। মালয়েশিয়ায় একটি ক্লাস্টারে সংক্রমিত ৪৫ জনের মধ্যে অন্তত তিনজনের শরীরে এই নতুন ভাইরাস দেখা গিয়েছে। এই সংক্রমণ ছড়িয়েছিল ভারত থেকে ফেরা এক রেস্তোরাঁ মালিকের থেকে। কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভাঙায় তাঁকে পাঁচ মাসের জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ নুর হিশাম আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, এই নতুন প্রজাতির খোঁজ মেলার অর্থ হলো, এত দিন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়ে যে গবেষণা হলো, তা ফের নতুনভাবে শুরু করতে হবে। এই ভাইরাস ১০ গুণ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সে ক্ষেত্রে আরো বেশি সতর্কতা নিতে হবে আমাদের।
নুর হিশাম মালয়েশিয়ার মানুষদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন, মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে এবং আরো সুরক্ষা নিতে হবে, যাতে এই নতুন প্রজাতির ভাইরাস বেশি ছড়িয়ে পড়তে না পারে। এ ধরনের বিবর্তনের চেন ভাঙার জন্য মানুষের সহযোগিতা আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ইউরোপ ও আমেরিকায় করোনাভাইরাসের এত ব্যাপক প্রভাবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ভাইরাসের এই বিবর্তন। তার ফলে বারবার গবেষণায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে। যে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ চলছে, দেখা যাচ্ছে সেই ভ্যাকসিন এই নতুন ধরনের প্রজাতির ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। সে ক্ষেত্রে নতুন করে গবেষণা করে সেইমতো ভ্যাকসিন তৈরি করতে হচ্ছে। এদিকে ভাইরাস নিজের চরিত্র বদলাচ্ছে। ফিলিপাইন থেকে ফেরা কিছু মানুষের মধ্যেও এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে বলে খবর বের হয়।
অন্যান্য দেশের তুলনায় মালয়েশিয়া করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকটা সাফল্য দেখিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার নতুন করে ২৬ জন আক্রান্ত হয়েছে, যা ২৮ জুলাইয়ের পর সর্বাধিক। রবিবার আরো ২৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর এই নতুন আক্রান্তদের অনেকের শরীরেই বিবর্তিত ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন