বিশ্লেষকরা অভিযোগ করেছেন, করোনা ভ্যাকসিন প্রতিযোগিতায়’ প্রথম হতে অনেকেই শর্টকাট পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।গত ১১ আগস্ট কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির ঘোষণা দেয় রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট পুতিনের মতে এটি বিশ্বের প্রথম কার্যকর কোভিড ভ্যাকসিন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি তৈরিতে যথাযথ নিয়ম মানেননি গবেষকরা।–সিএনএন
একই অভিযোগ বিশ্বের দ্বিতীয় ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধেও। যা তৈরি করেছে চীন। শুধু তাই নয়, ক্লিনিকাল ট্রায়ালে থাকা সব ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধেই এ ধরনের অভিযোগ আছে। যেসব দেশ ভ্যাকসিন তৈরিতে এগিয়ে গেছে, কমবেশি সবার বিরুদ্ধেই উঠেছে ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদের অভিযোগ। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগটা গুরুতর। শুধু শর্টকাটের অভিযোগই নয়, দেশটি তথ্য এসপ্যানিওয়াজ করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে, যেসব দেশ বা যে দেশ কার্যকর কোভিড-১৯ তৈরি করবে, তার হাতে থাকবে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় মারভেল। এ কারণে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের মাত্র ৪ মাসের মাথায় ক্লিনিকাল ট্রায়ালে চলে গিয়েছিলো একাধিক ভ্যাকসিন। যা শুধু চমকপ্রদ নয়, অস্বাভাবিকও বটে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, দ্রুততম সময়ে কোভিড ভ্যাকসিন আবিষ্কার খুবই জরুরি। কিন্তু এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি নেবার কোনও মানেই নেই। এমনকি এই ব্যাপারে সতর্ক করেছেন খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(ডব্লিউএইচও) প্রধান। কিন্তু তবুও কোম্পানিগুলো এবছরেই ভ্যাকসিন আনতে বদ্ধ পরিকর। যা তৈরি করতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন