করোনাভাইরাস মহামারিতেও সিঙ্গাপুরের ৫০ শীর্ষ ধনীর ২৮ শতাংশ সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে।মহামারি পরিস্থিতিতে গত জুনে সিঙ্গাপুরের জিডিপি হ্রাস পেয়েছে ১৩.২ শতাংশ। অথচ কোভিড মন্দা মোকাবেলায় দেশটির সরকার ৬৮ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ সহায়তা দিয়েছিল। শেয়ার বাজার সূচক ২১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরের ৫০ জন ধনী তাদের সম্পদ বৃদ্ধি করতে সমর্থ হয়েছেন ২৮ শতাংশ। –দ্য ফোর্বস
তাদের সকলের মোট সম্পদের পরিমান ১৬৭ বিলিয়ন ডলার। চীনে জন্ম নেয়া হটপট বিলিওনারি ঝ্যাং ইওং এবং তার স্ত্রী সু পিং যিনি হাইদিলাও ইন্টানরন্যাশনাল হোল্ডিংএর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং এরা এবছরের প্রথম ৬ মাসে ৫.২ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছেন। লি ঝিটিং শেনঝেন মাইন্ডরে বায়ো-মেডিকেল ইলেক্ট্রোনিক্সের চেয়ারম্যান এবং তার প্রতিষ্ঠান কোভিডের চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য ডিভাইস তৈরি করে ব্যবসা করেছে ১৭.৮ বিলিয়ন ডলার।
নিপ্পন পেইন্টের মালিক গো চেং লিয়াংয়ের গত বছর সম্পদের পরিমান ছিল সাড়ে ৯ বিলিয়ন ডলার। এবছর তার সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪.৮ বিলিয়ন ডলার। সিঙ্গাপুরের ফার ইস্ট অর্গানাইজেশন রিয়েল এস্টেট ব্যবসার জন্যে সুপরিচিত। এ কোম্পানিটি ১৩.২ বিলিয়ন মুনাফা করেছে একই সময়ে। কম্পিউটার গেম ও ই-কমার্স ফার্ম সি’এর সিইও ফরেস্ট লি লকডাউনে ভাল ব্যবসা করেছেন। তিনি মুনাফা করেছেন ৫.৩৩ বিলিয়ন ডলার এবং প্রথমবারের মত তিনি ১০ শীর্ষ ধনীর তালিকায় উঠে এসেছেন। সি কোম্পানির শেয়ার মূল্য বেড়েছে ২৮৩ শতাংশ। এ কোম্পানির তৃতীয় সহ প্রতিষ্ঠাটা ডেভিড চেন কোটিপতি হয়েছেন কোভিডকালেই এবং তার সম্পদের পরিমান দাঁড়িয়েছে ১.৩৭ বিলিয়ন ডলার।
করোনা মন্দায় আক্রান্ত হয়ে সম্পদ খোয়াতে হয়েছে সিঙ্গাপুরের অনেক কোটিপতি ব্যবসায়ীকে। শিপিং টাইকুন হিসেবে পরিচিত চ্যাং ইয়ান চাংয়ের বয়স ১০২ বছর এবং প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল লাইন্সের এই মালিক এখন আর কোটিপতি নন। সম্পদ হ্রাস ও ঋণভারে জর্জরিত এখন তিনি প্রায় সর্বশান্ত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। পর্যটন ও হোটেল ব্যবসায়ী কো উইই মেং যার কোম্পানি হচ্ছে ফ্রাগর্যান্স গ্রুপ এবং এমএন্ডএল হসপিটালিটির মাইকেল কুমের গল্প একই। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় তেল ব্যবসায়ী হিন লিওং ট্রেডিংএর মালিক লিম ওওন কুইন রয়েছেন একই কাতারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন