মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

১৯ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশু উদ্ধার!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

কথায় আছে, রাখে আল্লাহ, মারে কে! আর তাই বোধহয় এ যাত্রায় সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এল বছরে চারেকের মুহাম্মদ বাঙ্গি।

মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে ১৯ ঘণ্টা উদ্ধারকার্য চালানোর পর আচমকাই শিশুর কান্নার আওয়াজ কানে যায় উদ্ধারকারীদের। ছোট্ট প্রাণটিকে বাঁচাতে তখন মরিয়া এনডিআরএফের টিম। নতুন উদ্যমে শুরু হয় ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। অবশেষ মৃত মায়ের দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার করা হয় চার বছরের এক শিশুকে। কংক্রিটের চাঙড় খসে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। ভাই-বোনের লাশের পাশে শুয়ে পানির জন্য অঝোরে কেঁদে যাচ্ছে মুহাম্মদ। মা তাকে বুকে আগলে রেখেছেন। ছোট্ট প্রাণটা বেঁচে গেলেও মৃত্যু হয় তার মায়ের। আর তার সেই আকুল কান্নাই এ যাত্রায় প্রাণে বাঁচিয়ে দিল তাকে। এদিকে তাকে বাঁচাতে ঠিক কতটা মরিয়া ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা তা সেই মুহ‚র্তের ভিডিওতে তাঁদের চোখ-মুখের অভিব্যক্তি বলে দিচ্ছিল। তরতাজা প্রাণটিকে উদ্ধার করতেই উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন বাহিনীর সদস্যরা। সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রেচারে চাপিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয় মুহাম্মদকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথার আঘাত গুরুতর হলেও আপাতত আশঙ্কামুক্ত সে। আর হাসপাতালের বেডে শুয়ে একরত্তি মুহাম্মদ শুনিয়েছে তার ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা।

মুহাম্মদের কথায়, “আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বিল্ডিংটা। সকলের চিৎকার, কান্না শুনতে পাচ্ছিলাম। পাশে ভাই-বোনকে দেখতে পেলেও কেউ কথা বলছিল না। শুয়ে ছিল। মা আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিল। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে কতক্ষণ আটকে ছিলাম জানি না। ভীষণ পানির পিপাসা পাচ্ছিল। আল্লাহকে বলছিলাম একটু পানি দিতে। ঠিক তখনই কেউ বা কারা এসে আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করল”। প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ ভেঙে পড়েছিল রায়গড়ের অভিজাত এলাকার এই পাঁচতলা আবাসন। এখানে মোট ৪৭টি পরিবারের ২০০ জন বসবাস করতেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১২টি লাশ। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন