মানিয়ে নেয়ার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে মানুষের। বর্তমান এই করোনাময় কঠিন সময়ও মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী। ‘সুখ’ এমন একটি অনুভূতি যার ওপর সমাজ ও ব্যক্তির নিজের প্রভাব কাজ করে। করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে মানুষ যখন এক চিলতে সুখের জন্য হন্যে, ঠিক এমন সময়েই ডেনমার্কে ‘হ্যাপিনেস মিউজিয়াম ‘ নামের জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়। সুখানুভূতির ধারণাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিশ্বের প্রথম জাদুঘর এটি। -সিএনএন
জাদুঘরটি হ্যাপিনেস রিসার্চ ইন্সটিটিউট নামের ডেনমার্কের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের। জাদুঘরটি প্রকৃতপক্ষে ২০২০ সালের প্রথমেই উদ্বোধনের পরিকল্পনা হয়। তারপরেই মহামারী ছড়িয়ে পড়ে, আন্তর্জাতিক চলাচল সীমিত হয়ে যায়। এসময় উদ্বোধন হবে কিনা এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হয় ওয়াইকিং-কে। এই সময়ে উদ্বোধন করা হলে যদিও দর্শনার্থী সংখ্যা কম থাকবে, আমরা চিন্তা করে ঠিক করি, এসময় পৃথিবীর আরও বেশি সুখের প্রয়োজন। ‘ তারপরই, জরুরি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে, দর্শনার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫০ জন নির্ধারণ করে জাদুঘরটি খুলে দেয়া হয়।
কোনো একটি সমাজের মানুষ কেন অন্য কোনো সমাজের মানুষের চেয়ে বেশি বা কম সুখী হয়, প্রতিষ্ঠানটি এনিয়ে গবেষণা করে। সুখী সমাজ গঠনে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিশ্বের নীতিনির্ধারকদের প্রণোদনা দেয়াই তাদের উদ্দেশ্য। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্য নির্বাহী মেইক ওয়াইকিং জানান, কয়েকবছর ধরে জনসাধারণ তাদের অফিস পরিদর্শনের অনুরোধ জানানোর পর তারা জাদুঘরের চিন্তা করেন।
ওয়াইকিং বলেন, আমার মনে হয়, মানুষ এই প্রতিষ্ঠানটিকে একটি জাদুকরী জায়গা মনে করে, কেউ হয়তো ভাবেন আইসক্রিম ও কুকুরছানা আছে এমন জায়গা। প্রকৃতপক্ষে এখানে আমরা আটজন মানুষ কম্পিউটারের সামনে বসে থাকি। তাই আমরা চিন্তা করি, আমরা এমন একটি জায়গা গড়ে তুলতে পারি যেখানে মানুষ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সুখের অনুভূতি জানবে, অভিজ্ঞতা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন