বিশ্বে রাজনীতির গতিবিধি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। মুসলিম বিশ্বের কিছু রাষ্ট্র একদিকে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছে, অন্যদিকে তুরস্ক-ইরান নতুন করে ফিলিস্তিনসহ মজলুম মুসলমানদের সহানুভূতির হাত বাড়াচ্ছে। এদিকে মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান অনলাইন বৈঠকে আবারও সেই স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেছেন। ইরান ও তুরস্কের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। ইরান ও তুরস্কের সর্বোচ্চ কৌশলগত সম্পর্ক পরিষদের ষষ্ঠ বৈঠকে তারা এ গুরুত্ব আরোপ করেন। মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, জ্বালানী ও পরিবহন খাতের পাশাপাশি পর্যটন এবং তেল ও গ্যাস খাতে পুঁজি বিনিয়োগের বিষয়ে এরইমধ্যে দু’দেশের মধ্যে যেসব চুক্তি সই হয়েছে সেগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা দরকার। বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয়ে ইরান ও তুরস্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে জানিয়ে রুহানি বলেন, রাশিয়াকে সঙ্গে নিয়ে আস্তানা শান্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তেহরান ও আঙ্কারা সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। অনলাইন বৈঠকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানও দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে বলেন, তুরস্ক ইরানের জ্বালানী, পরিবহন ও পর্যটন খাতে পুঁজি বিনিয়োগের জন্য সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কোনো দেশ ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে উদ্যোগ নিয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করে এরদোগান বলেন, এসব দেশ মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা করেছে যা মুসলিম জাতিগুলোর স্বার্থ পরিপন্থি। ইয়েনি শাফাক, ইরনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন