ফের রেকর্ড! ভারতে গতকাল অবধি পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৭৩৫ জন। যা এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। যার ফলে দেশটিতে এখন মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ১৬৬। দৈনিক মৃত্যুরও আগের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে এদিন। একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৭২ জন। দেশটিতে এ নিয়ে মোট করোনায় মৃত্যু ৭৫ হাজার ছাড়াল। এসময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭২ হাজার ৯৩৯ জন। মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৩ জন।
মহারাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৯ জন। ঠাকরে রাজ্যে মোট করোনার বলি এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৭৮৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬২ জন। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৫৩ হাজার ১০০ জন। অন্ধ্র প্রদেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ২৭ হাজার ৫১২ জন। সে রাজ্যে করোনার বলি মোট ৪ হাজার ৬৩৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬০৭ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্ত সেখানে ৯৭ হাজার ২৭১ জন। তামিলনাড়ুতে মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৪ লাখ ৮০ হাজার ৫২৪। সে রাজ্যে এপর্যন্ত নোভেল জয়ীর সংখ্যা ৪ লাখ ২৩ হাজার ২৩১। প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৯০ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৪৯ হাজার ২০৩।
এদিকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পথে কাঁটা! শেষমেশ ভারতে বন্ধ করে দেয়া হল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’-এর ট্রায়াল। অক্সফোর্ডের করোনা টিকার ট্রায়াল বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এদিন এক বিবৃতিতে সিরামের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি এবং যতক্ষণ না অ্যাস্ট্রাজেনেকা ট্রায়াল ফের শুরু করছে ততদিন ভারতে এ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ রাখা হচ্ছে”। সিরাম কর্তৃপক্ষের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘আমরা ডিসিজিআই-এর নির্দেশিকা মেনে চলছি’।
উল্লেখ্য, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলাকালীন ব্রিটেনে এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়েন, তার জেরেই সে দেশে এই প্রতিষেধকের ট্রায়াল বন্ধ রাখা হয়। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পরই পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে শো-কজ নোটিস দেয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। তারপরই সুরক্ষার স্বার্থে দেশে অক্সফোর্ডের প্রতিষেধকের ট্রায়াল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হল।
প্রসঙ্গত, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে যে ক’টি সংস্থা হাত লাগিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম প্রথম সারিতে রয়েছে অক্সফোর্ডের টিকা। এক্ষেত্রে যেভাবে ট্রায়ালের কাজ থমকে গেল, তাতে ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে আশঙ্কা আরও বাড়ল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, জি নিউজ ও ওয়ার্ল্ডোমিটার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন