শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ঘোষণা অনুযায়ী কাজ না হলে আন্দোলনে যাবে বিরোধীরা

প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : থাইল্যান্ডে ২০১৭ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটিরসনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রী প্রাইয়ুথ চান-ওচা। গত রোববার গণভোটে সামরিক সরকার প্রণীত সংবিধানের পক্ষে রায় পড়ার পর বিরোধীরাসহ অন্যান্য মহল উৎকণ্ঠায় ছিল, সামরিক সরকার হয়তো দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে কালক্ষেপণ করবে। এ ধরনের উদ্বেগের মধ্যে প্রাইয়ুথ বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেন। এদিকে বিরোধীরা বলেছে, তারা ২০১৭ সাল পর্যন্তই অপেক্ষা করবে। তারপর ঘোষণা অনুযায়ী অবস্থার পরিবর্তন না ঘটলে আন্দোলনে যাবে।
রোববারের গণভোটটি থাইল্যন্ডের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। থাইল্যান্ডবাসী সেদিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা ২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা প্রইয়ুথের সঙ্গে থাকবে, না তার বিরোধিতা করবে। প্রাইয়ুথ ২০১৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে বলেছিলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দূর করতেই তিনি ক্ষমতায় এসেছেন।
জান্তা সরকারের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রাইয়ুথ এর আগেও বলেছিলেন, ২০১৭ সালে সাধারণ নির্বাচন দেয়া হবে। এক সিনিয়র কর্মকর্তা সোমবার জানান, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার ২০১৭ সালের প্রথম দিকেই ক্ষমতা গ্রহণ করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যত দ্রুত সম্ভব থাইল্যান্ডে বেসামরিক সরকার গঠনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানোর পর প্রাইয়ুথ আবারও ২০১৭ সালে নির্বচনের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন। মন্ত্রী সভার বৈঠককে সামনে রেখে গণভোটের পর প্রথম সাংবাদিকদের সাথে প্রথম মন্তব্যে প্রাইয়ুথ বলেন, প্লিজ, আপনারা রোডম্যাপের ওপর আস্থা রাখুন। ২০১৭ সালেই নির্বাচন হবে। আমি এর অন্যথা আর কিছু বলিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রোববারের ৬১ শতাংশ ‘হ্যা’ ভোটে থাইল্যান্ডের বৃহত্তর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সম্ভাবনা ভেস্তে গেছে। থাইল্যন্ডে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলে আসছে। এ সময়ের মধ্যে দু’ দু’বার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং রক্তক্ষয়ী দাঙ্গাও হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতির ওপর এবং কমে গেছে প্রবৃদ্ধির হার।
গণভোটের আগে বড় রাজনৈতিক দলগুলোসহ সমালোচকরা বলেছিলেন, এই সংবিধান পাশ হলে গণতান্ত্রিক ধারা বন্ধ হয়ে যাবে এবং সামরিক বাহিনী মনোনীতরাসহ অনির্বাচিত আইনপ্রণেতারা ক্ষমতায় আসবেন। নির্বাচিত সরকারের ওপর তাদের ভেটো প্রদানের ক্ষমতা থাকবে। রোববারের গণভোটের পর থেকে এখনো কোন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে না। জান্তা সরকারের বিরোধীরা বলছে, তারা ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেখবেন এবং তার পর তারা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবেন। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন