ইনকিলাব ডেস্ক : দীর্ঘ ৬ বছর পর অনশন ভাঙার পর শর্মিলা বলেন, আমি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী হতে চাই। আমি রাজনীতিতে আসছি কারণ এর মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে মানুষের অধিকার রক্ষা করব। তিনি বলেন, এবার থেকে অনশন নয়, রাজনীতির ময়দানে নেমে আফস্পা প্রত্যাহার নিয়ে তিনি লড়াই চালাবেন। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিনের প্রেমিক ডেসমন্ড কুটিনহোকে বিয়ে করে ঘর বাঁধার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এর আগে ২৬ জুন অনশন ভাঙার ঘোষণা দেন তিনি। ২০০০ সালের ২ নভেম্বর মালোম বাসস্ট্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মনিপুরে ১০ জন নিহত হয়। ওই নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এবং মণিপুর থেকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) প্রত্যাহারের দাবিতে অনশন শুরু করেন শর্মিলা। তারপর থেকে নানা ঝড়ঝাপটার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। নাক দিয়ে বিশেষ টিউবের সাহায়্যে তাকে এতদিন তরল পদার্থ খাওয়ানো হয়। আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগে আটক করা হলেও, তার অনশন কেউ ভাঙাতে পারেনি। তাকে বারবার আটক করা হয়। অনাহারে শরীর ভেঙে যাওয়ায় তাকে বন্দি অবস্থায় হাসপাতালে রাখা হয়। বহু ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়েও অটুট ছিল তার অনশন। প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে ওঠেন শর্মিলা। এই প্রতিবাদের জন্যই তাকে মণিপুরের ‘লৌহ নারী’ বলে ডাকা হয়ে থাকে। এদিকে, বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর আদালত তাকে মুক্তি দেন। এনডিটিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন