শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

লিবিয়ায় আইএস সদর দপ্তর সরকারি বাহিনীর দখলে

প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : লিবিয়ার সরকারি বাহিনী জানিয়েছে, সির্তে শহরে আইএস জিহাদিদের সদর দপ্তর দখল করে নিয়েছে তারা। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে লিবিয়ার সরকারি বাহিনীর এটা বড় ধরনের সফলতা। একই সাথে তারা সির্তে শহরের প্রধান হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করেছে তারা। বেশকিছু আইএস যোদ্ধা আবাসিক এলাকাগুলোতে আটকা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। লিবিয়ার এ সির্তে শহরেই আইএসের শক্ত ঘাঁটি ছিল। লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা চালিয়ে আইএস বিরোধী অভিযানে সহায়তা করছে। দশদিন আগে থেকে মার্কিন বাহিনী এখানে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল। সরকারি বাহিনীর মুখপাত্র রিদা ইসা জানান, সরকারি বাহিনী আগাদগু কমপ্লেক্সের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। মুয়াম্মার গাদ্দাফির জন্মস্থানের বড় বড় ভবনগুলো আইএস যোদ্ধাদের দখলে ছিল। গত বছর তারা এই শহরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছিল। প্রধান ঘাঁটি হারিয়ে জিহাদিরা এখন বেশ বেকায়দায় পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তারা সিরিয়া ও ইরাকেও মার খাচ্ছে। সরকারি বাহিনী গত মাসে এই শহরটি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল। আইএসের ভূমি মাইনের আঘাতে বহু সরকারি সেনা হতাহত হয়েছিল। আইএস যোদ্ধারা শহরের কেন্দ্রস্থলে সরকারি বাহিনী দ্বারা বেষ্টিত হয়ে আছে। তবে এখনো তারা কিছু কিছু আবাসিক এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। বাকি আইএস সদস্যদের বিতাড়িত করতে এখন ঘরে ঘরে ঢুকে যুদ্ধ করা বেশ কঠিন হবে বলেও স্বীকার করেছেন অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী এক কর্মকর্তা। পহেলা আগস্ট থেকে ড্রোন এবং জঙ্গি বিমানের সাহায্যে ২৯ দফা হামলা চালিয়েছে। ইসা জানান, বুধবারের অভিযানে কমপক্ষে ১৬ জন সরকারি সৈন্য নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছে। অভিযারে শুরুতেই তারা একটা জঙ্গী বিমান খুঁইয়েছে বলে জানানো হয়। তবে কি কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আইএস তাদের ওয়েবসাইটে  দাবী করেছে, তারা বিমানটি ভূপাতিত করেছে এবং এর পাইলটকে হত্যা করেছে। ২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে দএন্দ্বর সুযোগে আইএস দেশটিতে প্রবেশ করে এবং সহিংস ঘটনা ঘটায়। সির্তে আইএস ব্যাপক স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে। ইতালি এই স্থলমাইন অপসারনের ব্যাপারে লিবীয়দের প্রশিক্ষণ দেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করলেও লিবিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি। রয়টার্স, বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন