কোভিডের কারণে ট্রাম্পকে নির্বাচনে চরম মূল্য দিতে হবে বলে মনে করছেন মার্কিন বিশ্লেষকরা।মার্কিন রাজনীতিবিদ ও পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এ ভাইরাস মোকাবেলায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যর্থতা নিয়ে বরং আরো বেশি অভিযোগ উঠবে। সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের সিনিয়র গবেষক অধ্যাপক আইতান গিলবোয়া বলেন, মাত্র ১০ শতাংশ ভোটার এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তারা কাকে ভোট দেবেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এ হার ছিল ২০ শতাংশ। -জেরুজালেম পোস্ট
ট্রাম্প যখন হাসপাতালে তখন ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন এখন আরো জোর নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশেষ করে যেসব রাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার কথা রয়েছে তাদের মধ্যে। অধ্যাপক গিলবো বলছেন, এমনিতে ৫২ শতাংশ মার্কিন নাগরিক বিশ্বাস করেন ট্রাম্প প্রশাসন কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলায় করেছেন দুর্বলভাবে। গত আগস্টে পিউ রিসার্চের জরিপে এমন তথ্য দেয়া হয়। গিলবো বলেন, কোভিড ভাইরাসকে প্রথম থেকেই ট্রাম্প পাত্তা দেননি। দোষারোপ করেছেন চীনকে, মিডিয়াকে, ডেমোক্রেটদের এমনকি সবাইকে। কোভিড মোকাবেলায় ট্রাম্প দায়িত্ব নিতে চাননি। বরং বলেছেন আমি সবসময় কোভিড পরিস্থিতিকে এড়িয়ে যেতে চেয়েছি। যা তিনি সাংবাতিক বব উডওয়ার্ডের কাছেও স্বীকার করেছেন। ট্রাম্পের অসুস্থতাই তার এসব ভুলকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিচ্ছে।
ট্রাম্পের কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়টি তার মূল্যবান প্রচারভিযানকে হরণ করছে। পূর্ণ উদ্যমে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এখন ঝাঁপিয়ে পড়ার সময়। এর ফলে ট্রাম্পের সমর্থকরা হতোদ্যম হতে বাধ্য। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গভর্নর ও মেয়ররা লকডাউন আরোপ করতে চেয়েছেন তখন ট্রাম্প এর বিরোধিতা করেছেন। বলেছেন মার্কিন অর্থনীতি রসাতলে যাবে। মিশিগান, লস এ্যাঞ্জেলস, অরেগনসহ বিভিন্ন রাজ্যে তার সমর্থকদের লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন