শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সুপ্রিম কোর্টে গেলেন রাহুল-সোনিয়া

প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন রাহুল-সোনিয়া। ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে যে ফৌজদারি মামলা চলছে, তা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আগেই দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী। তবে তা আদালতে নাকচ হয়ে যায়। দিল্লি হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোটের দ্বারস্থ হলেন তারা।
এই মর্মে গতকাল সর্বোচ্চ আদালতের ‘স্পেশাল লিভ’ আবেদন দাখিল করেছেন তারা। কংগ্রেস সভানেত্রী ও সহ-সভাপতির আবেদন নাকচ করার প্রসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টের ব্যাখ্যা ছিল, তাদের পক্ষে রায় দিলে তা পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে গণ্য হবে।
সোনিয়া-রাহুলের পাশাপাশি পিটিশন দাখিল করেছেন শ্যাম পিত্রোদা ও সুমন দুবে। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টে হাজিরা এড়ানোর যাবতীয় চেষ্টা বিফলে যায় সোনিয়া-রাহুলের। বিজেপি নেতা সুব্র্রামানিয়াম স্বামীর অভিযোগ, ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের সিংহভাগ শেয়ার গান্ধী পরিবারের। সোনিয়া, রাহুলের বিরুদ্ধে কাগজের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ২০১৪ সালের আগস্টে সোনিয়া ও রাহুলকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী পাতিয়ালা হাউস কোর্টে নিঃশর্তে জামিন পেয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বিশে ফেব্রুয়ারি দুপুর দুইটায়।
ন্যাশনাল হেরাল্ড অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে সোনিয়া ও রাহুল ছাড়াও কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতাসহ পরলোকগত রাজীব গান্ধীর এক বন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তামিলনাড়ুর রাজনীতিবিদ বিজেপি নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী। সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দলীয় তহবিল তসরুপ করে জওহরলাল নেহেরুর প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড নামের ওই ইংরেজি পত্রিকাটির সম্পত্তি কিনে মুনাফা করেছেন ও আয়কর আইন ভেঙেছেন। যদিও মা-ছেলে দু’জনই দলীয় তহবিল কেলেঙ্কারি এবং কোনো অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এর আগে এ মামলায় কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাহুলকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে সমন জারি না করতে সোনিয়া-রাহুলের করা আবেদন দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়। ১৯৩৮ সালে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার কার্যক্রম শুরু করেন। নেহরু রাহুলের প্রপিতামহ। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সুব্রামানিয়াম স্বামীর অভিযোগ, সোনিয়া ও রাহুল করমুক্ত অর্থ থেকে ঋণ হিসেবে ন্যাশনাল হেরাল্ডকে ৯০ কোটি রুপি দেন। এছাড়া, কংগ্রেস নেতারা বেআইনিভাবে মাত্র ৫০ লাখ রুপিতে দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার সম্পত্তি কিনে নেন। সুব্রামানিয়াম স্বামীর অভিযোগ, ওই সম্পত্তির মূল্য কয়েক হাজার কোটি রুপি ছিল। কয়েক দশক ধরে অব্যবস্থাপনা ও ক্ষতির মধ্যে থাকায় ২০০৮ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সূত্র : এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন