গোটা আমেরিকায় এখনও পর্যন্ত নিউ ইয়র্কই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশ। ইতিমধ্যে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ২৩ হাজারেরও বেশি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন আগেই। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ল আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে। সেখানকার বেশ কয়েকটি এলাকায় গত কয়েকদিনে বেড়েছে সংক্রমণের হার। যার জেরে ওই শহরের কয়েকটি এলাকায় ফের জারি হয়েছে লকডাউনের বিধিনিষেধ। গতকাল রবিবার (৪ অক্টোবর) তা ঘোষণা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাসিয়ো।
নতুন করে আছড়েপড়া করোনা ঢেউ রুখতে ২০টি হটস্পট চিহ্নিত করেছে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন। সেগুলি মূলত ব্রুকলিন ও কুইনস এলাকায়। এর মধ্যে ন’টি জিপ কোড এলাকায় থাকবে কড়া বিধিনিষেধ। বাকি এলাকাগুলির বাসিন্দারা কিছু ব্যাপারে ছাড় পাবেন। ওই ন’টি জিপ কোড এলাকায় ইহুদিরা রয়েছেন সবথেকে বেশি। ইহুদিদের মধ্যেই করোনার ছড়িয়ে পড়ার হার সবথেকে বেশি। গত সাতদিন ধরে নিউ ইয়র্কের ওই ন’টি এলাকায় সংক্রমণের হার তিন থেকে আট শতাংশ। যেখানে গোটা নিউ ইয়র্ক শহরের সংক্রমণের হার মাত্র ১.৫ শতাংশ।
ওই ন’টি এলাকার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ যাতে শহরের বাকি অংশে ছড়িয়ে না পড়ে, যে জন্যই এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। আগামী বুধবার সকাল থেকে কুইনস ও ব্রুকলিনের এলাকাগুলিতে জারি হবে বিধি নিষেধ। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত কিছু বন্ধ রাখা হবে সেখানে। সরকারি-বেসরকারি সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খোলা থাকবে না ওই এলাকার রেস্তোরাঁও। তবে রেস্তোরাঁ থেকে ডেলিভারি পাবেন সেখানকার বাসিন্দারা। বাকি ১১টি এলাকায় রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকলেও স্কুল বন্ধ রাখা হবে না।
রবিবার বিধিনিষেধ জারি নিয়ে বিবৃতিতে নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাসিয়ো বলেছেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত আজকের দিনটি উদ্যাপনের নয়। আজ কঠিন দিন।’’ নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘শহরের কিছু এলাকা বিশেষত কুইনস ও ব্রুকলিনে নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বসন্তেও সমস্যা এত প্রবল ছিল না। তা ঠেকাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ এর পরই ওই সব এলাকায় কোন ধরনের বিধি নিষেধ বলবৎ হবে তা জানিয়েছেন তিনি। সূত্র : আনন্দবাজার
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন