১০ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। দুটো দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলা ও গোলা বর্ষণের অভিযোগ করছে। বিরোধপূর্ণ অঞ্চল নাগার্নো-কারাবাখের দখল নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই সংঘাত। এদিকে আজারবাইজান প্রস্তুত থাকলে পারস্পরিক সমঝোতায় যেতে প্রস্তুত আর্মেনিয়া। দুই দেশের যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতায় প্রস্তুত ইরান। নতুন করে দেশ দুটির সংঘাতে প্রায় তিনশ’ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
অন্যদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তার দেশ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার মতবিরোধ নিরসনে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখÐ হিসেবে স্বীকৃত হলে আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া কোন দেশই নাগার্নো-কারাবাখকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে না। ইয়েরাভানে অস্বীকৃত এই এলাকাটির একজন প্রতিনিধি আছেন কিন্তু কোন দূতাবাস নেই।
দশ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে। গত ৩০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম দেখা যাচ্ছে তুরস্ক আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে। তুরস্ক অনেক শক্তিশালী আঞ্চলিক শক্তি এবং আজারবাইজানের সঙ্গে তাদের জাতিগত ও ভাষাগত সম্পর্ক রয়েছে।
অন্যান্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাতিসংঘ এবং ওএসসিই শান্তিপূর্ণ সমঝোতার মাধ্যমে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার আহবান জানিয়েছে।
কিন্তু এবার তুরস্ক এবং আজারবাইজান বলছে, নাগার্নো-কারাবাখে, তাদের ভাষায়, আর্মেনিয়ার দখলদারিত্বের অবসান ঘটলেই কেবল এই শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে। বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন