শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিক্ষোভে পানি কামান ব্যবহার, গ্রেফতার

জেলখানায় বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় লুকাশেঙ্কো

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ রবিবারও অব্যাহত ছিল। রাজধানী মিনস্কতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ পানি কামান নিক্ষেপ করেছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় ৩৯ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে। ৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে বেলারুশে জোরালো বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রতি সপ্তাহেই সেখানকার বিভিন্ন শহরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন লাখ লাখ মানুষ। আগের সপ্তাহের বিক্ষোভের দিনগুলোতে বহু মানুষকে আটক করা হয়েছে। রবিবার বিক্ষোভে রাজধানীতে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন। অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মুখোশ পরা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পানিকামান নিক্ষেপ করছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপ স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক বিক্ষোভে আটকের বিষয় পর্যবেক্ষণ করা ভিয়াসনা মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, রবিবার রাজধানীতেই অন্তত ৩৯ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য শহরগুলোতেও অনেককে আটক করা হয়েছে। এর আগে জেলখানায় নিজের কঠিন প্রতিপক্ষদের সঙ্গে দেখা করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। সেখানে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে সাংবিধানিক সংস্কারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেছেন দেশে ও দেশের বাইরে বেশ চাপের মুখে থাকা মস্কোপন্থী এ রাজনীতিবিদ। সবচেয়ে অবাক করে দেয়ার বিষয় হলো লুকাশেঙ্কো যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, তা আবার সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে বেশ ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ তার সরকারই বিভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় তাদের মাসের পর মাস জেলে পুরে রেখেছে। জেলখানায় বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ভিডিও বার্তায় লুকাশেঙ্কো বলেন, আমি শুধু তাদের সমর্থকই নয়, বিস্তৃতভাবে পুরো সমাজকে এ বার্তা দিতে চাচ্ছি, আমাদের কোনো জিনিসের প্রতি বৃহৎ দৃষ্টিতে দেখতে হবে। লুকাশেঙ্কোর প্রেস বিভাগের শেয়ার করা এক ছবিতে দেখা যায়, একটি গোলাকার টেবিলে তিনি বিরোধী রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। বিরোধী রাজনীতিবিদদের মধ্যে ছিলেন ভিক্টর বাবারিয়ুকু। গত আগস্টের নির্বাচনে লুকাশেঙ্কোর সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা হচ্ছিল সাবেক এ ব্যাংকারকে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলে পোরা হয়। লুকাশেঙ্কোর এ বৈঠককে তার দুর্বলতার নিদর্শন হিসেবে দেখছেন বিরোধীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বিরোধীদলীয় নেতা সভেতলেনা তিখানোভস্কা বলেন, এর মাধ্যমে রাজনৈতিক কারণে বন্দি হওয়া নেতাদের উপস্থিতি স্বীকার করে নিলেন, আগে যাদের তিনি অপরাধী হিসেবে অভিহিত করে আসছিলেন। গত আগস্টের বিতর্কিত নির্বাচনের পর লুকাশেঙ্কোর সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র। এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন