রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিলম্বিত হতে পারে ব্রেক্সিট

প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : অন্তত তিন বছরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ছে না ব্রিটেন। এই বিলম্বের কারণ আগামী বছর জার্মানি ও ফ্রান্সের জাতীয় নির্বাচন। ফলে ধরে নেয়া যায়, ২০১৯ সালের শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেই থাকছে ব্রিটেন। ব্রিটেনের সানডে এক্সপ্রেস জানিয়েছে, সরকারের সিনিয়র সূত্রগুলো বলেছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে আর্টিকেল ৫০ সক্রিয় করার কাজও আগামী বছরের শেষ নাগাদ স্থগিত করতে পারেন। এটা করা হলে ২৮ জাতির ব্লক ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে আসার জন্য সমঝোতার জন্য দু’বছর সময় পাবে নতুন সরকার। সে সময়টা হবে ২০১৮ ও ২০১৯ সাল। এ সময়ের সমঝোতা শেষেই ব্রিটেন বেরিয়ে আসতে পারবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে। এ প্রক্রিয়াটি প্রধানমন্ত্রী ঠিক ৫ মাসের মধ্যে শুরু করবেন বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল। কিন্তু অনাকাঙ্খিত এই স্থগিত অবস্থায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষ। কারণ, তারা চাইছিলেন খুব দ্রুততার সঙ্গে এ প্রক্রিয়া শুরু হোক। সিটি অব লন্ডনের একটি সূত্র বলেছেন, আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে জার্মানিতে জাতীয় নির্বাচন। মে মাসে নির্বাচন ফ্রান্সে। এ কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার ক্ষেত্রে তেরেসা মে’র সিদ্ধান্ত বিলম্বিত হতে পারে। ওই সূত্র বলেন, যখন আপনি বুঝতে পারছেন না কার সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে তখন কি করে সমঝোতা করবেন। প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র মন্ত্রিসভার এক সদস্য জার্মানির নির্বাচনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ওই নির্বাচনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল তার ক্ষমতাসীন সিডিইউ দলকে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ক্ষমতায় ফেরানোর চেষ্টা করবেন। এছাড়া তেরেসা মে’র ব্রেক্সিট ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক টিমের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক আছে। তারা মনে করছেন ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আর্টিকেল ৫০ সক্রিয় করার জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন না। অন্য একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন, মন্ত্রীরা মনে করছেন, এ প্রক্রিয়া ২০১৭ সালের শরৎ পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে। একটি সূত্র বলেছেন, আমি নিশ্চিত নই যে, তারা এ বিষয়ে প্রস্তুত। এ নিয়ে কেবল প্রাথমিক কথাবার্তা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটে ইইউ এর সাথে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের রায় পাওয়ার পর একই বছরের ২৪ জুন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ডেভিড ক্যামেরুন। ক্যামেরুনের পদত্যাগের পর যুক্তরাজ্যের ৭৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন টেরেসা মে। ইইউতে যুক্তরাজ্যের থাকার বিপক্ষে ৫২ শতাংশ ও পক্ষে ৪৮ শতাংশ ভোট পড়ে। ইইউতে থাকার পক্ষে লন্ডন ও স্কটল্যান্ড শক্তিশালী অবস্থান নেয়। এই দুই অঞ্চলে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট ইউরোপের পক্ষে। তবে ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে ইইউতে থাকার বিপক্ষে ভোট বেশি পড়েছে। এই গণভোটে ব্যাপক হারে ভোট দেয় না ভোটাররা। এমনকি ব্রিটেনের ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনেও এত ভোট পড়েনি। বিবিসি, সানডে টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন