ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর আগেই প্রতিবছর ১৩০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়। এমন তথ্য দিয়েছে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। বিশ্বের বৃহত্তম বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার আর সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকলে খাবারের এই অপচয় বন্ধ করা সম্ভব। বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের অনেকাংশই আসে খাদ্য উৎপাদন খাত থেকে। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ খাবারই নষ্ট হয় শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সঠিক সময়ে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে না পারায়। প্রযুক্তির সহায়তায় এই খাবারের অপচয় যদি রোধ করা সম্ভব হয়, তাহলে বিশ্বে ৮০ কোটি টন কার্বন নিঃসরণ কম হবে। এমনটাই জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের বৃহত্তর বন্দর কর্তৃপক্ষ। খাদ্যপণ্যসহ বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ পণ্যই শিপিং কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৌঁছে দেয়া হয়। কোম্পানিগুলো আগামী ৩০ বছরের মধ্যে একসাথে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছিলো। কিন্তু এরমধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও ছিল না খাবারের অপচয়ের বিষয়টি। করোনা মহামারির পর খাবারের অপচয়ের বিষয়টি জোরালোভাবে নজরে আসে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিজ নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষায় খাবারের অপচয় কমাতে চায় সব দেশ। এফএও ওয়েব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন