করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বে কঠোরতম লকডাউনের সংজ্ঞা লিখল দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া। বাড়ির বাইরে গিয়ে শরীরচর্চা থেকে পোষ্যকে নিয়ে বেরোনো পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই লকডাউনে। বৃহস্পতিবার থেকে এলাকাজুড়ে এমনই কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। আগামী ৬ দিন বাড়ি থেকে মাত্র এক জন করে বেরোনোর অনুমতি পাবেন। সেটিও শুধুমাত্র খুবই প্রয়োজনীয় কোনও কাজের জন্য। স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে থেকে শপিং মল সমস্ত বন্ধ রাখা হবে। বিয়ে থেকে শেষকৃত্য সব বন্ধ রাখা হবে। মাস্ক না পরে কোথাও যাওয়া যাবে না।
দেশের দক্ষিণাংশের প্রশাসনিক এক কর্তা স্টিভেন মার্শাল বলেছেন, ‹আমরা খুবই কঠোর পথ নিচ্ছি, যাতে দ্রুত এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি।› মার্শাল জানাচ্ছেন, সংক্রমণ নিয়ে চিন্তা বাড়ার অন্যতম কারণ এটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপসর্গহীন। হঠাৎই একধাক্কায় ২৩ জন সংক্রমিত হওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। রাতারাতি কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে।
এই করোনা পরিস্থিতির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার উপর। অ্যাডিলেডে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আবার ডন ব্র্যাডম্যানের স্মৃতি-জড়িত অ্যাডিলেডেই দিনরাতের ম্যাচ দিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ভারতের। সেই কারণে সামান্য হলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কোভিত আক্রান্তের সঙ্গে বাড়ছে দেখে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, কুইন্সল্যান্ড, তাসমানিয়া তাদের সঙ্গে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। তা দেখেই আরও তৎপর হয়ে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড তাদের ক্রিকেটারদের অ্যাডিলেড থেকে সরিয়ে এনেছে।
মার্চ মাস থেকে গোটা রাজ্যের সীমানা বন্ধ করার পরও সংক্রমণে বাধ সাধেনি। ফলে কঠোর পথ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলেই জানিয়েছে সেখানকার প্রশাসন। রাজ্যের বাইরে থেকে এসে ১৪ দিনের কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও সংক্রমণ কমেনি। এর পর কোভিড পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ায় প্রশাসন। মেলবোর্নের একটি হোটেলে এক সাফাইকর্মীর উপসর্গহীন করোনা ধরা পড়ে। সেখান থেকেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, এবং রোগীর সংখ্যা এক লাফে বেড়ে যায়। এ পর্যন্ত বেশিরভাগ করোনা রোগীরই উপসর্গ না থাকায় কঠোর লকডাউন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলে জানিয়েছেন মার্শাল। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন