ইনকিলাব ডেস্ক : কারিগরি সমস্যার কারণে প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার চারদিন পর বিশ্বের বৃহত্তম বায়ুযান আকাশে উড়েছে। এটি উড়োজাহাজ ও বিমানের মিশ্রণ, এতে হেলিকপ্টারের সুবিধাও আছে। গত বুধবার ইংল্যান্ডের কার্ডিংটন বিমানক্ষেত্র থেকে বায়ুযানটি আকাশে উঠলে উপস্থিত জনতা হর্ষধ্বনি ও হাততালি দিয়ে স্বাগত জানায়। এয়ারল্যান্ডার টেন নামের বায়ুযানটির একটি অংশ বিমানের মতো, অপর অংশ উড়োজাহাজের মতো। ৯২ মিটার লম্বা (৩০২ ফুট) এই যানটি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বায়ুযান হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। প্রস্তুতকারক কোম্পানি হাইব্রিড এয়ার ভেহিকলস (এইচএভি) জানিয়েছে, বায়ুযানটিকে মালবাহী হিসেবে বাণিজ্যিক খাতেও ব্যবহার করা যাবে। কোম্পানিটি এয়ারল্যান্ডারকে বর্তমানে চলাচলরত বায়ুযানগুলোর মধ্যে বৃহত্তম বলে দাবি করেছে। এই প্রকল্পে ব্রিটিশ সরকার ২৫ লাখ পাউন্ড (৩৭ লাখ ডলার) সহায়তা দিয়েছে। বায়ুযানটি ৪,৮৮০ মিটার উপর দিয়ে ঘণ্টায় ১৪৮ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে বলে জানিয়েছে এইচএভি। হিলিয়াম ভরার পর মানুষ্যবিহীন অবস্থায় বায়ুযানটি দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় এবং মানুষ থাকলে পাঁচ দিন আকাশে অবস্থান করতে পারবে। কারিগরি সমস্যার কারণে গত রোববার এর প্রথম উড্ডয়ন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ওই সমস্যা দূর করার পর প্রথম উড্ডয়নে এটি ৩০ মিনিট আকাশে ছিল। এইচএভি-র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাকগ্লেন্যান জানিয়েছেন, এই বায়ুযানটি হেলিকপ্টারের প্রযুক্তি থেকে কম ব্যয়বহুল ও পরিবেশ-বান্ধব। তিনি বলেন,এটি একটি ব্রিটিশ উদ্ভাবন। এর সাধারণ পাখাযুক্ত বিমানের মতো অংশ যেমন আছে, হেলিকপ্টারের মতো প্রযুক্তিও আছে এবং উড়োজাহাজের প্রযুক্তিও আছে। এনডিটিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন