দীর্ঘ দুই বছর পরে ইরানের জেল থেকে মুক্তি পেলেন পেলেন অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষাবিদ কাইলি মুর গিলবার্ট। অস্ট্রেলিয়ার সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তার বিনিময়ে অস্ট্রেলিয়াও তিন ইরানি বন্দীকে ছেড়ে দিয়েছে।
মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার গিলবার্ট ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট নিয়ে ইরান যান একটি কনফারেন্সে যোগ দিতে। তিনি যখন ইরান ছাড়তে যান, তখন তাকে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। মরুভূমির মধ্যে একটি কুখ্যাত কারাগারে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। তার সুরক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। চরবৃত্তির অপরাধে তাকে দশ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয় ইরানের একটি আদালত। অবশেষে দুই বছর পর বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় তিনি ছাড়া পেলেন।
মুক্ত গিলবার্ট বলেছেন, তার কারাবাসের অভিজ্ঞতা দীর্ঘ ও ভয়ঙ্কর। তিনি জানান, তিনি বন্দি হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা সমানে তাকে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। মুক্তির পর তিনি জানিয়েছেন, ‘ইরানের মানুষ সাহসী, দয়ালু ও ভালোবাসতে জানেন। তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আছে। কিন্তু আমাকে এখানে অন্যায় সহ্য করতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও ইরানের মানুষের প্রতি ভালোবাসা কমেনি।’ তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত দুই বছর তাকে অসহ্য কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু সে সব এখন অতীত। তার মুক্তিতে পরিবার আনন্দে ভাসছে। তার মুক্তি নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গিলবার্ট ধূসর রঙের হিজাব পরে আছেন।
ইরানের সরকারি মিডিয়ার খবর, বিদেশে আটক এক ব্যবসায়ী ও দুই জনের মুক্তির বিনিময়ে ছাড়া হয়েছে গিলবার্টকে। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বন্দি বিনিময় নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি শুধু বলেছেন, ‘আমরা সবসময়ই মনে করেছি, গিলবার্টকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল।’ ইরানে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, গিলবার্ট ভালো আছেন। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন