ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৪৬ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণকে। উল্লেখ্য, ইসলামি শরিয়াহ আইন লঙ্ঘন করলে জনসমক্ষে শাস্তি দেয়া হয় প্রদেশটিতে। বৃহস্পতিবার ইদি রায়েউক শহরে অভিযুক্ত তরুণকে এই শাস্তি দেয়া হয়। জানা গেছে, শাস্তি থেকে বাঁচতে ওই তরুণ নিজের দোষ স্বীকার করলেও দন্ড থেকে বাঁচতে পারেনি সে। শাস্তি চলাকালে সে একাধিকবার মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ করে তোলার পর আবার শুরু হয় বেত্রাঘাত। চলতি বছরের শুরুর দিকে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। স্থানীয় প্রসিকিউটর অফিসের কর্মকর্তা ইভান নানজার আলাভি সাংবাদিকদের জানান, ‘এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হলো নপুংসক করে দেয়া।’ প্রসঙ্গত, সুমাত্রার পশ্চিমে অবস্থান আচেহ প্রদেশের। এটি মুসলিম সংখ্য়াগরিষ্ঠ ইন্দোনেশিয়ার একমাত্র অঞ্চল যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে স্বশাসন চুক্তি অনুসারে ইসলামি আইন চালু রয়েছে। বৃহস্পতিবারও অনুমোদিত বয়সের তুলনায় কম বয়সী মেয়েদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অপরাধে ৪০ ও ২১ বছর বয়সী দুই ব্যক্তিকে ১০০ বার বেত্রাঘাত করা হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরেই আচেহ প্রদেশে বেত্রাঘাত আইনের কঠোর নিন্দা করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। উল্লেখ্য, জুয়া খেলা, ব্যাভিচার, মদ্যপান, সমকামিতা অথবা বিয়ের আগে যৌনতার সাজাও সেখানে বেত্রাঘাত বা চাবুকের আঘাত। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন