দাবানল, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং কাঠ পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে দ্রুত সবুজ হারাচ্ছে আমাজনের জঙ্গল। ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ এই এলাকাতেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অক্সিজেন উৎপন্ন হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড শোষিত হয়। ওজোন স্তরকেও সুরক্ষা জোগায় এই এলাকা। কিন্তু যেভাবে বৃক্ষনিধন বেড়েছে আমাজনে তাতে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞানীরা।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ব্রাজিলের এখনকার প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর আমলেই সবচেয়ে বেশি বৃক্ষ নিধন হয়েছে আমাজনে। ২০০৮ সাল থেকে নেওয়া তথ্যভান্ডারের হিসেব জানাচ্ছে, গত ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃক্ষনিধন ও সবুজ ধ্বংস করা হয়েছে বলসোনারোর জমানাতেই। নিজের সরকারের প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে আমাজনকে তিনি রক্ষা করতে পারেননি। সরকারি স্তরে দুর্নীতি, নিরাপত্তারক্ষীদের গাফিলতি, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ব্রাজিল সরকারের সমন্বয়ের অভাব ইত্যাদি নানা কারণে আমাজন ধীরে ধীরে তার সম্পদ ও গাছ হারাচ্ছে। বনজ সম্পদ ও কাঠ পাচারকারীদের চক্রকে খতম করতে উৎসাহ দেখাচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। এমনকি দাবানল থেকে আমাজনের জঙ্গলকে রক্ষা করতেও বার বার ব্যর্থ তিনি। এর জেরে তার সরকারের সমালোচনা বেড়েছে।
ব্রাজিলের নানা সংবাদমাধ্যমের দাবি, ব্রাজিলে রয়েছে আমাজনের বৃষ্টিঅরণ্য বা রেইন ফরেস্টের ১১ হাজার ৮৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা। এই রেইন ফরেস্টের বিস্তারের হার গত চার বছর ধরে কমছে। ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ এবং মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কৃত্রিম উপগ্রহগুলি মহাকাশ থেকে আমাজনের জঙ্গলের যে ছবি পাঠিয়েছে তাতেই সবুজ ধ্বংসের ঘটনাটি স্পষ্ট হচ্ছে। সূত্র : ভারতীয় মিডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন