ইনকিলাব ডেস্ক : গত রোববার পর্যন্ত টানা ৪৪ দিনের সংঘর্ষে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে। সবশেষ শ্রীনগরের উপশহরে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত হয়েছে আরো একজন। টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ দমনে কাশ্মীরের শ্রীনগর, অনন্তনাগ এবং পামপোর জেলায় কারফিউ জারি করা হয়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। কারফিউয়ের মধ্য শ্রীনগরে বিক্ষুব্ধ জনতার সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। শ্রীনগরের ফাতেহ কাদাল এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে আহত হন ইরফান আহমেদ। তাকে এসএমএইচএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। সবমিলে ৪৪ দিনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে। এর মধ্যে পুলিশের দু’জন সদস্য রয়েছে। রোববার দিনের আলোয় সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও সন্ধ্যায় গানদারবালের কানগান ও ত্রুমগুন্দ এবং সোপুরের ভোরামপোরা- এ তিন স্থানে পিকেটারদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
গত রোববার নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ তিন স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা। তবে এছাড়া অন্য কোথাও সহিংসতা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। শ্রীনগরে সংঘর্ষ রক্তাক্ত হয়ে ওঠার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কারফিউ জারি করা হয়। অফিস, দোকানপাট, পেট্রোল পাম্প বন্ধ রয়েছে এবং গণপরিবহন চলেনি প্রায়। শ্রীনগরে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবার থেকে প্রিপেইড ফোনে কল এলেও আউটগোয়িং কল এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে। এই বিক্ষোভকে ভারতের গণমাধ্যমে বিচ্ছিন্নতা বলা হচ্ছে। এ বিক্ষোভের নেতৃত্বে আছেন সৈয়দ আলী শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ ওমর ফারুক, মোহাম্মদ ইয়াসিন মালিক। তারা পুরো আগস্ট মাসজুড়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে বিক্ষোভকারীরা কাশ্মীরের সব এমপি, এমএলএ ও মন্ত্রীদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সেঁটেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া, ওয়েবসাইট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন