ইনকিলাব ডেস্ক : তাইওয়ানে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ তলা একটি ভবন ধসে ৫ জনের প্রাণহানি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২৮ জনকে উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৫৫ জন আহত হয়েছে। ধ্বংসাবশেষে ভেতরে অনেকে আটকা পড়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে বলে আশংকা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ভোর চারটার সময় এ ভূমিকম্প তাইওয়ানে আঘাত হেনেছে। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের মতে, তাইনান শহরের ৪৩ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল এবং এটি মাটির ২৩ কিলোমিটার গভীরে ঘটেছে। প্রায় একই সময়ে নেপালে গত শুক্রবার রাতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ১০টা পাঁচ মিনিটে রিখটার স্কেলে পাঁচ দশমিক দুই মাত্রার এই ভূমিকম্প নেপালে আঘাত হানে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরেই।
ভূমিকম্পে কাঠমান্ডু কেঁপে উঠে। এছাড়া ভারতের বিহারের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এই কম্পন অনুভূত হয়। তবে আজকের ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। গত বছরের ২৫ এপ্রিল নেপালে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় ৮,০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ওই ভূমিকম্পের পরও কয়েকবার ছোট ছোট আকারের ভূমিকম্প হয়েছে দেশটিতে। ভূমিকম্প-দুর্গত এলাকা তাইনান পরিদর্শনে গেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিও।
তিনি সর্বাত্মক ত্রাণ তৎপরতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকায় অবস্থিত তাইওয়ানে অনেক সময়ই ভূকম্পন ঘটে। সাধারণভাবে এসব ভূকম্পনে দেশটির তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় না। অবশ্য ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটিতে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ২৪০০ ব্যক্তি নিহত এবং ৫০ হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছিল।
খবরে বলা হয়, মূল ভূমিকম্পটির পর আরো বেশ কয়েকটি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে বলে তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে। বিধ্বস্ত ভবনটিতে বহু মানুষ আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রয়টার্স, আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন