শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

১৫ বছরের মধ্যেই মহাকাশে ঘর বাঁধতে পারবে মানুষ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

প্রকৃতির সৌন্দর্য নিঃসন্দেহেই অপরিসীম। কিন্তু তা বলে প্রাকৃতিক সম্পদ তো আর অফুরান নয় ! দিগন্তবিস্তৃত বলা হলেও কোথাও একটা এসে থেমে যায় বিশ্বে মানুষের বসতিস্থাপনের উপযোগী জায়গা। ফলে, অনেক বছর ধরেই মহাশূন্যে মানুষের বসবাসের প্রকল্প নিয়ে কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। এই লক্ষ্যে মূলত চাঁদ আর মঙ্গল গ্রহের নামই উঠে আসে নানা খবরে, এই দুই জায়গাতেই ভবিষ্যতে মানুষের উপনিবেশ তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। সেই সব জল্পনাকে এবার উসকে দিলেন ফিনল্যান্ডের পদার্থবিদ পেকা জানহুনেন। তিনি মহাশূন্যে ভাসমান এক শহরের নকশাও তৈরি করে ফেললেন আর জানালেন, বছর পনেরোর মধ্যেই, অর্থাৎ ২০৩৬ সাল নাগাদ মানুষ মহাশূন্যে বসবাস শুরু করে দিতে পারবে! তবে পেকা চাঁদ বা মঙ্গলের কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেননি। তিনি এই শূন্যে ভাসমান শহরের অবস্থানক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন পৃথিবী থেকে ৩২৫ মিলিয়ন মাইল দূরের সেরেস নামের এক বামন গ্রহের কথা। মঙ্গল আর চাঁদকে বাদ দিয়ে এ সেরেসকে বেছে নেয়ার কারণ তার প্রাকৃতিক পরিবেশ। পেকা জানিয়েছেন, এই বামন গ্রহটির আবহাওয়া রীতিমতো নাইট্রোজেন-সমৃদ্ধ। ফলে, পৃথিবীর অনুরূপ আবহাওয়া তৈরি করার কাজটা সেখানে সহজ হবে। পরিণামে, সেরেস গ্রহে মানুষের বসবাসের অভিজ্ঞতাও হবে সুখকর। হেলসিনকির ফিনিশ মেটিওরোলজিক্যাল ইন্সটিটিউটের এই পদার্থবিদের তৈরি নকশায় চাকতির মতো শূন্যে ভাসমান অনেকগুলো পদার্থ দেখা যাচ্ছে। এগুলোকেই ভবিষ্যতের ফ্ল্যাটবাড়ি হিসেবে বর্ণনা করেছেন পেকা। জানিয়েছেন, এর একেকটিতে ৫০ হাজার জন মানুষ থাকতে পারবে। এই গোলাকার ফ্ল্যাটবাড়িগুলো মাধ্যাকর্ষণের টান এড়িয়ে শূন্যে ভাসমান অবস্থায় থাকবে, পরস্পরের সঙ্গে এদের যোগ থাকবে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র দ্বারা। ফলে, এরা অন্য কোথাও ছিটকে চলে যাবে না। পেকা বলেছেন, এই বাড়িগুলোর নিচে ৬০০ মাইল পর্যন্ত কিছু রাখা যাবে যা স্পেস ইলেভেটরের সাহায্যে নিজেদের ঘরে নিয়ে যেতে পারবে মানুষেরা। সেরেসের চার দিকে বিচরণরত গ্রহাণু থেকে নির্গত অতিরশ্মি প্রতিহত করার ব্যবস্থাও ভেবে রেখেছেন পেকা। জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে শহরের চারপাশ মুড়ে দেওয়া হবে বিশেষ রকমের আয়না দিয়ে যাতে এই ক্ষতিকর রশ্মিগুলো সেখানে ঠিকরে মহাশূন্যে ফেরত চলে যায়! তবে, পৃথিবী থেকে মানুষ কী করে সেরেস গ্রহে যাবে, সেখানকার সভ্যতা পরিচালনার জ্বালানি কোথা থেকে আসবে- এই বিষয়গুলো এখনও ভেবে উঠতে পারেননি পেকা। তবে তার আশা- বিজ্ঞানের ক্রমবর্ধমান উন্নতি ১৫ বছরের মধ্যে সেই সমস্যার সমাধান করেই ফেলবে! সূত্র : নিউজ১৮।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন