রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পরবর্তী মহামারি নিপা ভাইরাস নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২১, ১১:০৭ পিএম

করোনাভাইরাস মহামারি সামালাতেই গত এক বছর ধরে ঘাম ছুটে যাচ্ছে বিশ্বের বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলোর। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ঠেকাতে দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে তাদের। বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে বাজারে এসেছে, অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে আরও কয়েকটি। ফলে করোনা মহামারি সমাপ্তিতে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তবে প্রশ্ন হলো- পরবর্তী মহামারি ঠেকাতে কতটা প্রস্তুত বিশ্ব? নেদারল্যান্ড-ভিত্তিক অ্যাকসেস টু মেডিসিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জয়শ্রী কে আইয়ার জানিয়েছেন, সম্প্রতি চীনে প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রাণঘাতী নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এটিই হতে পারে পরবর্তী বৈশ্বিক মহামারি। -দ্য গার্ডিয়ান

তিনি বলেন, নিপা ভাইরাস হলো আরেকটি ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ, যা বড় উদ্বেগের কারণ হতে পারে। যেকোনো মুহূর্তে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি পরবর্তী মহামারি ওষুধপ্রতিরোধীও হতে পারে। নিপা ভাইরাসের কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা এবং এনসেফালাইটিস (মস্তিষ্ক ফুলে যাওয়া) সৃষ্টি হতে পারে। প্রাদুর্ভাব কোথায় ঘটছে তার ওপর নির্ভর করে এতে মৃত্যুহার ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। নিপা ভাইরাস সাধারণত বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। বাংলাদেশ ও ভারতে খেজুরের রস পানের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিহ্নিত সবচেয়ে ভয়াবহ ১০টি সংক্রামক রোগের একটি নিপা ভাইরাস। অথচ এই মহামারি ঠেকাতে এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও কোনো প্রস্তুতি নেই।

জানা গেছে, গত কয়েক বছরে বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়াতে থাকা মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া ভাইরাস ঠেকাতে বর্তমানে চারটি পণ্যের কাজ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি ভ্যাকসিন, একটি ওষুধ, একটি ডায়াগনস্টিক যন্ত্র এবং একটি কীটনাশক স্প্রে, যেটি ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসের বিরুদ্ধেও কাজ করবে। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের আগে ওষুধ প্রস্তুতকারীদের পাইপলাইনে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত কোনও উদ্যোগ ছিল না। তবে মহামারিটি ছড়িয়ে পড়ার পর কয়েক মাসের মধ্যেই বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এই রোগ সংক্রান্ত ৬৩টি ভ্যাকসিন ও ওষুধের কাজ প্রক্রিয়াধীন। জয়শ্রী আইয়ার বলেন, আমাদের যেসব অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে, সেগুলো হয়তো এখনো কাজ করছে। তবে সেগুলো প্রতিস্থাপনের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা যে যক্ষ্মাকে নির্মূল করতে পারব ভাবতাম, সেটি ওষুধপ্রতিরোধী ধরনের কারণে বেশ কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন