শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কৃষি আইন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ এএম

মোদি সরকারের বিতর্কিত তিন কৃষি আইনকে সমর্থন করে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই আইনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন দেশটির অনেক কংগ্রেস সদস্য। তাদের মধ্যে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভাতিজি মীনা হ্যারিসও। বুধবার মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন উন্নত গণতন্ত্রের পরিচয়। তবে ভারত সরকার কৃষি আইন নিয়ে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে আখেরে দেশের বাজারই উপকৃত হবে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তাও তৈরি হবে ভারতে।’ এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে জো বাইডেন প্রশাসন সরাসরি স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছে ভারত সরকার কৃষিক্ষেত্রে যে সংস্কার এনেছে, তা কৃষকদের স্বার্থেই। এবং এই সংস্কারে কৃষকরা লাভবানই হবেন বলে দাবি আমেরিকার। তবে, এই আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঠিক বিপরীত অবস্থানে তাদের মিত্র ব্রিটেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের পার্লামেন্টে একটা বিতর্কসভার আয়োজন করতে চলেছে বরিস জনসন প্রশাসন। জনমতের উপর ভিত্তি করেই বিষয়টি নিয়ে তাদের অবস্থান ঠিক করবে বলে সে দেশের প্রশাসন সূত্রে খবর। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি। বাইডেন প্রশাসন ভারত সরকারের পাশে থাকলেও কৃষক আন্দোলন নিয়ে যে যুক্তরাষ্ট্রেও দ্বিমত তৈরি হচ্ছে, তা এক কংগ্রেস সদস্যের কথায় স্পষ্ট। কংগ্রেস সদস্য হ্যালি স্টিভেন্স যেমন বলেছেন, ‘ভারতের কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ করার খবর পাচ্ছি, তাতে খুবই উদ্বিগ্ন। মোদী সরকারের উচিত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে একটা সদর্থক রাস্তা বার করা।’ হ্যালি আরও জানান, গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে একটা জনমত গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কংগ্রেসের আরও এক সদস্য ইলহান ওমরও কৃষকদের সমর্থনেই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতে গণতান্ত্রিক অধিকারকে রক্ষা করার প্রয়োজন। কী ঘটছে সকলের সামনে তুলে ধরা উচিত। যে ভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, সাংবাদিকদের আটক করা হচ্ছে, তা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়।’ হ্যালি এবং ইলহানের মতো আমেরিকার বহু নেতাই কৃষক আন্দোলনের পক্ষে মত পোষণ করেছেন। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভাতিজি মীনা হ্যারিসও কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয় যে পৃথিবীর প্রাচীনতম গণতন্ত্রের (যুক্তরাষ্ট্র) উপর হামলা হয়েছে এক মাস আগেও হয়নি, এবং এখন আমরা বলছি, সর্বাধিক জনবহুল গণতন্ত্রও (ভারত) হামলার শিকার। এই দুইটি সম্পর্কিত। ভারতে প্রতিবাদকারী কৃষকদের দমনে ইন্টারনেট শাটডাউন এবং আধা সামরিক সহিংসতায় আমাদের সকলের ক্ষোভ প্রকাশ করা উচিত।’ এপি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন