রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতায় আসার ইঙ্গিত দিয়েছে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের তুরস্ক। সম্প্রতি আঙ্কারা ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা রাশিয়ার বিমান প্ররিক্ষা ব্যবস্থার সাথে আপস করতে ইচ্ছুক হতে পারে যা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। রুশ এয়ার ডিফেন্স সিসেটম এস-৪০০’-এর পূর্ণাঙ্গ মোতায়েন থেকে বিরত থাকতে পারে তুরস্ক। এমন আভাস দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার। এ মিসাইল সিস্টেম কেনার কারণে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটন চায়, ন্যাটোর হার্ডওয়্যারকে নিশানা করে তৈরি এস-৪০০ মিসাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুক আঙ্কারা। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে তুরস্ক এ ব্যবস্থা কিনেছিল। এরপর আঙ্কারা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার গত মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম হুররিয়াতকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, রাশিয়ার পুরনো এস-৩০০ ডিফেন্স নিয়ে গ্রিস যে ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ওই মডেলের একটি সমঝোতায় আসার জন্য তারা তৈরি। ১৯৯০ দশকের শেষে দিকে সাইপ্রাস এস-৩০০ কিনেছিল। তুরস্ক আপত্তি জানিয়েছিল, এ ব্যবস্থার মাধ্যমে তার সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এরপরও গ্রিস তার নিজের অঞ্চল ক্রিট দ্বীপে এর মোতায়েন অনুমোদন করেছিল। অবশ্য, তারা এর ব্যবহার করেনি এবং গত দশকে মাত্র একবার এর পরীক্ষা চালিয়েছে।
এদিকে তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত তুরস্কের দুই কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেছেন, আঙ্কারা ছাড় দিতে প্রস্তুত। কারণ, তারা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি সমরাস্ত্র ব্যবস্থার যন্ত্রাংশ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চান, তুরস্কের অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চান।
এর আগে, পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি বলেছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান বিক্রি স্থগিত রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা প্রত্যাহার করবে না জো বাইডেন প্রশাসন। তিনি বলেন, আমেরিকার কাছ থেকে এফ-৩৫ পেতে হলে তুরস্ককে রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
জন কিরবি বলেন, ‘এফ-৩৫ এবং এস-৪০০ একসঙ্গে রাখা যাবে না। এস-৪০০-এর ব্যাপারে ওয়াশিংটনের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। কিরবি আরো বলেন, তুরস্ক গত এক দশকে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে মার্কিন ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। কিন্তু তা না করে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান কেনার যোগ্যতা হারিয়েছে আঙ্কারা। সূত্র : হুররিয়াত, ব্লুমবার্গ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন